ধর্ম

মুসলিমদের যে কারণে ভারত ছাড়তে বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি

বিজয় রুপানি। ভারতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারতের নাগরিতকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে চলমান উত্তাল আন্দোলনে ঘি ঢেলে দিয়ে নতুন বিতর্কে জন্ম দেয় রুপানি। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে আয়োজিত র‌্যালী পূর্ব সমাবেশের এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের জন্য দেড়শ দেশ আর হিন্দুদের জন্য শুধুই ভারত।

Advertisement

দ্য হিন্দুস্তান টাইমস-এর তথ্য মতে, ‘নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গুজরাটে ৬২টি ব়্যালির প্রদর্শনী হয়। আমেদাবাদের র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন রূপানি বলেন, ‘মুসলমানদের জন্য বিশ্বে ১৫০টি দেশ রয়েছে। তারা সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু হিন্দুদের জন্য একটিই দেশ, আর তাহলো ভারত।’

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘মুসলমানরা ভারতে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করার সুযোগ পাচ্ছে। ভারতে তাদের জনসংখ্যাও বেড়ে চলেছে। তার হিসেবে, ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে মুসলমানদের জনসংখ্যা এখন ভারতে ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানের কারণে ভারতের মুসলমানরা সম্মানসহ খুব ভালোভাবেই বসবাস করছেন।

গুজরাটের এ মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে অন্যান্য দেশের একটি পরিংখ্যানও তুলে ধরেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন-

Advertisement

পাকিস্তানে হিন্দুদের জনসংখ্যা হার ২২ শতাংশ থেকে নেমে মাত্র ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সেখানে তাদের উপর অত্যাচার চলছে, তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। ফলে হিন্দুরা পাকিস্তান থেকে বহু আগে থেকেই ভারতে চলে আসছে। ভারতে তাদের নাগরিকত্ব না মেলায় তারা সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

বাংলাদেশে হিন্দুদের বসবাস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী রূপানির দাবি, ‘বাংলাদেশে শতাংশের বিচারে হিন্দুদের সংখ্যা ২ শতাংশ কমেছে।’

অন্যদিকে আফগানিস্তানে ২ লাখ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল বর্তমানে সেখানে রয়েছেন মাত্র ৫০০ শিখ। সে কারণেই আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের নতুন নাগরিকত্ব বিলের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র।

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘মুসলমানদের জন্য বিশ্বে ১৫০টি দেশ রয়েছে। তারা সেখানে যেতে পারে। কিন্তু, হিন্দুদের জন্য একটি-ই দেশ রয়েছে, তাহলো ভারত।’

Advertisement

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাইকে যেখানে অভয় দিয়ে বলছেন, কারোর ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির দাবি ভিন্ন। তার ভাষায়-

‘বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এনআরসি। ভুয়ো নাগরিকদের তাড়াতে এনআরসি লাগু হবেই। পাশাপাশি তার দাবি, ভোটের আগে বিজেপি বলেছিল, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হবে, সিএএ লাগু হবে, রাম জন্মভূমি তৈরি হবে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সবকটিই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আমাদের অঙ্গিকার পূর্ণ করেছি।’

এমএমএস/পিআর