দেশজুড়ে

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় নাকাল খুলনাবাসী

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত খুলনার জনজীবন। সূর্যের লুকোচুরিতে শীত যেন গরম কাপড় ভেদ করেই হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খুলনায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তীব্র শীতে ছুটির দিনও জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ।

Advertisement

সকালে খুলনার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, গতকালের চেয়ে আজ বেশি শীত পড়ছে। কর্মস্থল সাবরেজিস্ট্রি অফিস বন্ধ থাকলেও অফিস এলাকায় কিছু কাজ করতে হয়। সে কারণেই বাড়ি থেকে বের হয়েছি।

একই উপজেলার বাসিন্দা তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণু বলেন, শীতকে আরও বেশি জোরাল করেছে ঘন কুয়াশা। ভোরে রূপসা ও জেলখানা খেয়াঘাট থেকে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি ও নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গ্রামের অবস্থা আরও বেশি নাজুক।

রূপসায় নৌপথের যাত্রী রুহুল আমিন জানান, রাতের শেষ দিকে কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ছোটখাটো নৌযানগুলোও খুব সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে। বিশেষ করে রূপসা সেতু এলাকায় নৌযান ঘণ্টায় ১/২ কিলোমিটার গতিতে চলছে। কারণ কুয়াশায় রূপসা সেতুর দিক-নির্দেশনামূলক বাতি ঝাপসা ছিল।

Advertisement

এদিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের বাসচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় কুয়াশা না থাকলেও একটু শহরতলীতে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়।

এদিকে মঙ্গলবারের ন্যায় বুধবার সকালেও হাড় কাঁপানো ঠান্ডার পাশাপাশি গোটা খুলনাজুড়ে দাপট কুয়াশার। বিভিন্ন এলাকায় ভোর থেকে কুয়াশা পড়ছে। বেলা বাড়লেও পুরোপুরি সূর্যের দেখা মেলেনি।

এদিকে তীব্র শীতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। আবার শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।

খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সারাদিন এ ধরনের তাপমাত্রাই থাকবে।

Advertisement

আলমগীর হান্নান/আরএআর/জেআইএম