লাইফস্টাইল

গর্ভাবস্থায় যে নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে

মা হওয়ার পুরো যাত্রায় নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবু সন্তানের মুখ দেখার সঙ্গে সঙ্গে সেসব কষ্ট তুচ্ছ হয়ে যায়। বর্তমান ব্যস্ত সময়ে প্রায় সব মেয়েকে ঘরে-বাইরে দুদিকেই সামলাতে হয়। তাই গর্ভাবস্থাতেও নিশ্চিন্ত আরাম জোটে না। ফলে নিশ্চিতভাবে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ইদানীং প্রতি ১০জন শিশুর মধ্যে একেরও বেশি ৪০ সপ্তাহের পূর্ণ গর্ভকাল সমাপ্ত হওয়ার আগেই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে এবং এই সংখ্যাটা বাড়ছে দ্রুত গতিতে।

Advertisement

৩২-৩৭ সপ্তাহের মধ্যে শিশুর জন্ম হলে খাওয়ানো, অক্সিজেন সাপোর্ট আর ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তারও আগে শিশু ভূমিষ্ঠ হলে ইনটেনসিভ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। তবে তারও আগে গর্ভবতী মায়েদের এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কয়েকটি টিপস মেনে চলতে হবে।

নজর দিন মানসিক অবস্থার দিকে: গর্ভাবস্থায় মানসিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হয়। জায়গা নিতে পারে স্ট্রেস। গর্ভাবস্থায় যত কম স্ট্রেসে থাকবেন, তত ভালো থাকবে আপনার শিশু। নিজে স্ট্রেস ম্যানেজ করতে পারছেন না? তা হলে সাহায্য নিন পেশাদারের। সেই সঙ্গে পারিবারিক সাহায্যও একান্ত প্রয়োজনীয়।

জীবনযাত্রায় কিছু নিয়ন্ত্রণ: দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তার উপর যদি অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান করেন, রাত জাগেন, হাঁটাচলা না করেন তা হলে সমস্যা আরও বাড়বে। গর্ভাবস্থাতেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটাচলা করুন, ব্যায়াম করুন। খুশি থাকুন। সেই সঙ্গে জোর দিন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপরেও।

Advertisement

নিয়মিত ডাক্তার দেখান: যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, ডাক্তার দেখানোর সময় বের করে নিতেই হবে। কোনো কনসালটেশন যেন বাদ না পড়ে, তা দেখবেন। নিয়ম মেনে ওষুধপত্র খান। সাবধানে থাকুন।

বাচ্চা হওয়ার পরও কিছু সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। সাধারণত প্রি-ম্যাচিওর বাচ্চারা একটু দুর্বল হয়। তার যেন ঠান্ডা না লাগে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, এরা একেবারে বেশি খেতে পারে না- বার বার অল্প অল্প করে ব্রেস্ট ফিড করানোর বন্দোবস্ত করতে হবে।

বাড়িতে যেন কেউ ধূমপান না করেন, তা দেখতে হবে। বাচ্চার আশেপাশে যারা থাকবেন, তাদের সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও বিশেষ যত্নশীল হওয়া উচিত।

এইচএন/জেআইএম

Advertisement