নিঃসঙ্গতা কিংবা বন্ধুহীনতার শহরে স্মার্টফোনটিই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে প্রিয় বন্ধু। হাঁটতে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, শুতে যাওয়া, খেতে যাওয়া- সবখানেই সঙ্গী এই স্মার্টফোন। কিন্তু জানেন কি, আপনি যাকে বন্ধু ভাবছেন সেই স্মার্টফোনই কিছু ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করছে? বিশেষ করে আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে। এর কারণেই আপনি নানা চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারছেন না!
Advertisement
মোবাইল ফোন সব সময় সঙ্গে রাখা কিন্তু একদমই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। কিন্তু তাতে কী! আধুনিক এই জীবন যাপনে মোবাইল ছাড়া একদিনও চলে না আমাদের। মোবাইল ফোন থেকে নিজেকে দূরে রাখা একদমই সম্ভব হয় না। কখন কী নোটিফিকেশন এলো, কার মেসেজ, কার মেইল- এসব চিন্তায় বার বার হাতে উঠে আসে সাধের ফোনখানা। মোবাইল ফোন নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি আমাদের স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এই স্ট্রেস হরমোন কিন্তু ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক।
আমরা সবাই জানি যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটা বেশ কার্যকরী একটি উপায়। কিন্তু আপনি যদি মোবাইল হাতে হাঁটতে বের হন, আপনার চোখ বারবার চলে যাবে ফোনের স্ক্রিনের দিকে। ফলে আপনার হাঁটার বেগও অনেকটাই কমে যাবে। যথেষ্ট জোরে না হাঁটলে ওজন কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
খেতে খেতে ফোন ঘাঁটার বদ অভ্যাস রয়েছে প্রায় সবারই। কিন্তু তাতে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোনে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আপনার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। তাই ফোন নিয়ে খেতে বসলে কিন্তু আপনার ডায়েটের দফারফা হবেই। খাওয়ার দিকে মন না থাকায় আপনার পেট ভরে গিয়েছে, তাও আপনি বুঝতে পারবেন না।
Advertisement
ঘুমের আগে ফোন ঘাঁটেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু বেশি রাত পর্যন্ত ফোন ঘাঁটাঘাটির অভ্যাসের কারণে রাতে ঘুম ঠিকমতো হয় না। আর ঘুম ঠিক না হলে কিন্তু স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ হয়ে ওজন বাড়বে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারলে সকালে উঠে ওয়ার্ক আউটও করতে পারবেন না।
মোবাইলের প্রতি আসক্তির কারণে ওয়ার্ক আউট করার সময়ই আপনি প্রায়শই মন দিতে পারেন না। মনে পড়ে থাকে কী নোটিফিকেশন এলো, সেদিকে। যে কাজটা করছেন, তা মন দিয়ে না করলে তার উপকার কিছুই পাওয়া যায় না। জিমে গিয়েও ওয়ার্ক আউটে মন দিতে না পারলে ওজন কমানো সম্ভব হবে না।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement