ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যর্থ, উপাচার্যকে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৪ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শেষে ভিসি লাউঞ্জে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন। অভিভাবকদের পক্ষে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন রাখাল রাহা নামের এক অভিভাবক।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কতিপয় শিক্ষার্থীর মা-বাবা, অভিভাবক, সাবেক ছাত্র, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, আইনজীবী, তথা রাষ্ট্রের কর প্রদানকারী নাগরিকর। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে৷ কিন্তু তারা আপনার কাছ থেকে তোমন কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না৷ আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া সত্ত্বেও আপনি সব ছাত্রের প্রতি শিক্ষকসূলভ নিরপেক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হচ্ছেন৷'

এতে আরও বলা হয়, আপনি (উপাচার্য) এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনভুক্ত ও সর্বোচ্চ সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে দায়দায়িত্ব রয়েছে তা সুচারুরূপে পালন করার জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে জনগণের করের টাকায় পরিশোধ করা হয়৷ কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় তহবিলের বেতনভাতা প্রাপ্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও কেন একটি দলীয় সরকারের কর্মকর্তার মতো আচরণ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়৷'

Advertisement

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দিনের পর দিন আপনার পক্ষপাতমূলক, অমানবিক আচরণে আমরা হতবাক, বিমর্ষ এবং উদ্বিগ্ন। আপনার এ আচরণ অপরাধীদের অপরাধ করতে ধারাবাহিকভাবে উস্কানি দিচ্ছেন বলে আমরা মনে করছি।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে অভিভাবক রাখাল রাহা উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, 'মাননীয় উপাচার্য আপনি বার বার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন ব্যর্থ হচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে আপনার আচরণ কেন একজন দলীয় কর্মকর্তার মতো হবে? তা জানতে চাই৷ এতে উপাচার্য কোনো উত্তর দিতে পারেননি৷ তিনি এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে বলেন, 'আপনারাদের এই বার্তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সহায়তা করবে৷ অভিভাবকরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ৷ আপনাদের কথা শোনা আমাদের প্রয়োজন৷ একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে৷ যেটি প্রত্যাশিত ছিল না৷ যারা অপরাধী তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে৷'

সাংবাদিকদেক এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, 'ভিপি নুরের ওপর হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা যাবে৷ এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি৷ তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷'

বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত-কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, 'কোনো সংগঠনকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা উচিত নয়৷'

Advertisement

এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম। অভিভাবকদের পক্ষে ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চিত্রশিল্পী শহীদুল আলম, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ৷

এএইচ/এমএস