পিরোজপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে উপকূলীয় এ জেলার চাষিদের। জেলার তিনটি উপজেলার শতাধিক গ্রামের কৃষকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে পান চাষ। পচন রোগসহ নানা সমস্যার পরও এমন সাফল্যে হাসি কৃষকের মুখে।
Advertisement
প্রায় ৩০ বছর আগে থেকে পান চাষে বিখ্যাত পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেসারাবাদ উপজেলা। এ তিন উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামে পানের আবাদ করা হয় ৫২০ হেক্টর জমিতে। প্রতি কুড়ি (২০) পান পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয় ৫-৬ হাজার টাকা। তিন দশক থেকে উৎপাদিত পান নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাপালিরহাট গ্রামের চাষি চিত্তরঞ্জন হালদার জানান, গত কয়েক বছরের তুলানায় এ বছর পান চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তারা। তবে ভরা মৌসুমে জেলার সন্ধ্যা, কঁচা ও বলেশ্বর নদী থেকে অনায়াসে বইতে থাকে স্রোতধারা।
চিত্তরঞ্জন হালদার আরও জানান, তিনটি নদীর স্রোতের কারণে পানের বরজগুলো তলিয়ে যায় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই। নদীতে পানির প্রবাহ থাকলেও স্লুইচ গেট না থাকায় পানের বরজগুলোতে প্রায়ই দেখা দেয় পচন রোগসহ নানা সমস্যা।
Advertisement
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর বলেন, ‘জেলায় বারিপান-১ (চালতা ডোগা) ও বারিপান-২ (মহানলী) উৎপাদনে প্রতি একর জমিতে কৃষকের ব্যয় হয় ৫-৬ লাখ টাকা। রোগের আক্রমণ না হলে তা বিক্রি হয় ১০-১২ লাখ টাকা।’
এ বছর জেলায় ৬৯৫ হেক্টর জমিতে পানের উৎপাদন ৮ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন বলে আশাবাদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। তবে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে কৃষকরা আরও লাভবান হবে। সে ব্যাপারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
আল আমিন ওমর/এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement