আন্তর্জাতিক

ত্রিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় জাপান চীন দ. কোরিয়া

ত্রিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে চীনে এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলের চেংডু শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিকিয়াং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে উন অংশ নিয়েছেন।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে বলছে, চীনের চেংডু শহরে মঙ্গলবার এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ওই তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে মুক্ত বাণিজ্য এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে পরিত্রাণ পেতে উত্তর কোরিয়ার দাবি জোরাল হচ্ছে। এর মাঝে সম্মেলনে চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অবসানে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি বলেছেন, তিন দেশ ঐক্যমতে পৌঁছেছে যে, কোরীয় দ্বীপের সঙ্কট সমাধানে একমাত্র কার্যকর উপায় হলো সংলাপ এবং পরামর্শ। কোরীয় উপদ্বীপের সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক উপায়ে কাজ করতে আমরা তিন দেশ সম্মত হয়েছি।

Advertisement

চলতি বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি না পেলে উত্তর কোরিয়া নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেবে বলে হুমকি দিয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলছে, ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের ওপর যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিস্টমাসের উপহার দেবে পিয়ংইয়ং।

চীন মনে করে যে অবাধ বাণিজ্যকে রক্ষা করে বিশ্ব-শান্তির বহুপক্ষীয়তা রক্ষায় সুবিধা হয়

লি, অ্যাবে এবং মুন বলেছেন, তারা আঞ্চলিক পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনীতি, পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা তিনজনই মুক্ত বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক একীভূতকরণের পক্ষে। চীন মনে করে, মুক্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে বহুপক্ষীয় বিশ্ব শান্তি রক্ষা করা সম্ভব।

এর আগে রোববার বেইজিংয়ে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ঝং শান, জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী হিরোশি কাজিয়ামা ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পমন্ত্রী সাং ইউন মোর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ঝং শান বলেন, এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য বেইজিং, টোকিও ও সিউলের কাজ করা উচিত।

Advertisement

রফতানি নির্ভর চীন ১৬ দেশের রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) চুক্তি সম্পন্ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ড রয়েছে।

এসআইএস/জেআইএম