সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ৯ মার্চ ২০১৪ তারিখের পরবর্তী সময়ে টাইম স্কেল প্রদানের সুযোগ নেই বলে মতামত দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
Advertisement
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত মতামত দিয়ে একটি চিঠি গণশিক্ষা ও প্রাথমিক সচিবের কাছে পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।
এতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ৯ মার্চ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে বিধায় উক্ত তারিখ থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৭(১) নং অনুচ্ছেদের সুবিধা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
শিক্ষার মান উন্নয়নে টাইম স্কেল বাস্তবায়ন ও বেতন বাড়ানোসহ বেশ কিছু দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা।
Advertisement
এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২তম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেড নির্ধারণের বিষয়ে মতামত দেয় অর্থ বিভাগ।
গত ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন) জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩০২৩০ টাকা) এবং সহকারী শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন) ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে ইতোমধ্যে নতুন গ্রেডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এটি এক ধরনের প্রহসন বলে মনে করছেন তারা।
নতুন এ বেতন স্কেল প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দিন বলেন, ‘এটি এক ধরনের প্রহসন। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি। অন্যথায় নতুনভাবে আন্দোলনে নামাবো।’
Advertisement
এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেল প্রদান না করা সংক্রান্ত মতামত দিল অর্থ বিভাগ।
এমইউএইচ/জেএইচ/জেআইএম