ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার হওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়েছেন ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে তাকে নিউরোলজি বিভাগের ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
সোমবার সকালে জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ড. এ কে এম নাসিরউদ্দিন। তিনি জানান, গতকাল ফারাবির শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা ছিল বলে তাকে সাপোর্টে দেয়া হয়েছিল। এখন সে আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারছে।
হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে কেবিনে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন ভিপি নুর ও তার অনুসারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হন।
Advertisement
নুরসহ আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ফারাবীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এছাড়া আহত বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
হামলার পর সন্ধ্যায় আহত নুরকে দেখতে হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য নানক ও নাছিম।
তবে হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয়া শুরু করেন অনেকে। এরপর তারা সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে যারা স্লোগান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে তারা কী উদ্দেশে এগুলো করছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে।
নুর ও অন্যান্য ছাত্রদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা পৈশাচিক এবং এর পিছনে কাদের কী উদ্দেশ্য আছে তা পুলিশকে খুঁজে বের করার নির্দেশও দেন তিনি। কোনো গোষ্ঠীর কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নিতে দেয়া হবে না বলেও দাবি করেন তারা।
Advertisement
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরাও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
এআর/এনএফ/পিআর