দেশজুড়ে

ব্যবহারের আগেই ভেঙে যাচ্ছে কৌরিখাড়া ঘাটের নবনির্মিত যাত্রীছাউনি

কাজ শেষ করার আগেই ভেঙে যাচ্ছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার কৌরিখাড়া খেয়াঘাটে দশ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত যাত্রীছাউনির ছাদ। নিম্নমানের কাজ করার কারণে এমনা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

Advertisement

জানা গেছে, কৌরিখাড়া খেয়াঘাটের যাত্রীছাউনির কাজের শেষ পর্যায়ে ছাদের মধ্যভাগে ফাটল দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি লোহার পাইপ বসিয়ে ঠেক দিয়ে কাজ সমাপ্ত করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়ে গেছে।

খেয়াঘাটের টোল আদায়কারী আব্দুল হাকিম বলেন, নদীর পূর্বপাড়ে স্বরূপকাঠি ঘাটের পুরনো ঘাটলা প্লাস্টার করে নতুন ঘাটলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। মাসব্যাপী এ নির্মাণ কাজ চললেও একদিনের জন্যও কোনো প্রকৌশলীকে কাজ তদারকি করতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাম রেজা অভিযোগ করে বলেন, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ছাদের পুরুত্ব মাত্র দুই ইঞ্চি। প্রয়োজনীয় রড না দিয়ে ছাদ নির্মাণ করায় যেকোনো সময় তা ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া ঘাটলা দুটির সিঁড়ি ও বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কাজের মান ঠিক হয়নি। ওই কাজগুলো ভেঙে নতুন করে আবার কাজ করানো হবে। এ ছাদের পুরুত্ব ৫ ইঞ্চি করতে হবে।

জেলা পরিষদের সদস্য (স্বরূপকাঠি থেকে নির্বাচিত) মো. সেলিম মিয়া বলেন, কাজের মান খুবই খারাপ হয়েছে। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে আসার পরে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

উল্লেখ্য, পিরোজপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে দশ লাখ টাকা ব্যয়ে সন্ধ্যা নদীর দুইপাড়ে দুটি ঘাটলা ও একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে মেসার্স শেখ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এমবিআর/পিআর

Advertisement