ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ এক অকৃত্রিম বন্ধুকে হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান। তিনি বলেন, তিনি (আবেদ) গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথা ভেবেছেন, দরিদ্র মানুষেরকে নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে দারিদ্র্য নিরসনে এমন একটি মডেল রেখে গেছেন, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের দারিদ্র্য নিরসনে কাজে লাগবে।
Advertisement
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলার এই মেধাবী সন্তানের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে এসব কথা বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, উনি অনেক জানতেন, তবুও তিনি শিখতেন এবং শিখতে ভালোবাসতেন। তিনি ব্র্যাককে একটি লার্নিং সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার ব্র্যাকের কারণেই সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছে।
আজ দুপুর ১২টা ৪৬ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে ফজলে হাসান আবেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।
Advertisement
এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ সাদা ফুলে ঘেরা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখানে আগে থেকেই ব্র্যাকের কর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষজন শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষায় ছিলেন।
মরদেহ সেখানে রাখার পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে মেজর আশিকুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপ-সামরিক সচিব কর্নেল মো. সাইফুল্লাহ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. মো. তামিম আবেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৯টায় সর্বসাধারণের জন্য গেট খুলে দেয়া হয়। একে একে মাঠে প্রবেশ করে সবাই শ্রদ্ধা জানান বাংলার এই মেধাবী সন্তানকে।
Advertisement
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস চেয়ার স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এআর/এসআর/পিআর