দেশজুড়ে

রাঘব বোয়ালদের বাঁচার চেষ্টা

মংলা বন্দরের গুদামে থাকা কন্টেইনার থেকে রহস্যজনকভাবে ২৬৬ বেল কাপড় উধাও হয়ে যাবার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি এখনো তদন্ত শুরু করতে পারেনি। এদিকে এই ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত আছেন বলে জানা গেছে। তারা নিজেদের রক্ষা করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।এ ঘটনায় সিঅ্যান্ড এফ এজেন্ট, নোয়াল চালক ও কয়েকজন শ্রমিক সর্দার ছাড়াও ট্রাফিক শাখার কর্মকর্তারাও জড়িত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা একটি কন্টেইনারে ২৭০ বেল কাপড় গত ২৪ জুন নিলাম করা হয়। নিলামের আগে ঠিকাদাররা বন্দরের ২ নম্বর ইয়ার্ডে থাকা কন্টেইনারের কাপড়ের বেল দেখে আসেন। এরপর তারা নিলামে অংশ নেন। নিলাম প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাবুল ট্রেডার্সের লোকজন, মংলা কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মালামাল বুঝে নিতে যান। তবে তারা সেখানে গিয়ে কন্টেইনারটি পশুর নদীর পাড়ে ৬ নম্বর শেডে দেখতে পান এবং খুলে তাতে ২৬৬ বেল কাপড় কম দেখেন।এ ব্যাপারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ উপসচিব মীর হোসেনকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে তদন্ত কমিটি এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি বলে জানা গেছে।সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটিতে যারা আছেন তারা সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তারা সময় দিতে না পারায় তদন্ত এখন শুরু হয়নি।এ ব্যাপারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজর মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে জানান, পুরো বন্দরের ট্রাফিকের দায়িত্ব তাদের হাতে। কোনো কন্টেইনার বের করতে হলে ট্রাফিক শাখা থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই কন্টেইনারের ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, মাল চুরির সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে সাজা দেয়া হবে। এই চুরির দায় ট্রাফিক বিভাগের উপর পড়ে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেবো।এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-সচিব মীর হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর

Advertisement