বনানী কবরস্থানের এ ব্লকের ১৫ রোডে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস চেয়ার স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্ত্রী আয়শা হাসান আবেদের কবরেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।
Advertisement
কবর খোঁড়ার কাজে নিয়োজিত সৈয়দ আলী জানান, সকাল থেকে সাতজন কবর খোঁড়ার কাজ করেছেন। ইতোমধ্যে দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ কবরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
Advertisement
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তিনি ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বাদ দিয়ে তিনি লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টসে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি তার প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।
১৯৮০ সালে র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার, ২০১১ সালে ওয়াইজ প্রাইজ অব এডুকেশন, ২০১৪ সালে লিও টলস্টয় ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল, স্প্যানিশ অর্ডার অব সিভিল ম্যারিট, ২০১৫ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পুরস্কার অর্জন করেন। সর্বশেষ চলতি বছর তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষায় ভূমিকা রাখায় ইয়াডান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করার পর তা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে।
এএস/জেএইচ/পিআর
Advertisement