আর কয়েক দিন পরই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এ উপলক্ষ্যে জেলা শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা নির্মাণ ও মন্দির সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা।সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনীতে প্রায় চার লাখ পুন্যার্থী জেলার ১৩৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গাৎসব পালন করবে। ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন করতে পরিচালনা কমিটি, পূজাঙ্গন প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার নানা প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। ওই সূত্র আরও জানায়, সদর উপজেলায় ৫৪টি, দাগনভূঞায় ১৬টি, সোনাগাজীতে ২২টি, ছাগলনাইয়ায় ৫টি, ফুলগাজীতে ৩৫টি ও পরশুরামে ৬টি পূজা মণ্ডপে এ উৎসব পালিত হবে। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর চার দিনব্যাপী এ উৎসবে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এ উৎসবকে ঘিরে বখাটেদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় পূজা উদযাপন কমিটি ও দর্শনার্থীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। এছাড়া বিদ্যুৎ সমস্যাও তখন প্রকট আকার ধারণ করে। উৎসবের প্রথম দিন দেবীর আগমন বোধন ষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী, চতুর্থ দিন মহানবমী ও সন্ধী পূজা এবং শেষ দিন প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দশমি বিহীত পূজা উদযাপিত হবে।জানা যায়, শহরের জগন্নাথ বাড়ি কমপ্লেক্স, গুরুচক্র মন্দির, কালী বাড়ি মন্দির ঘুরে দেখা গেছে এখানকার মণ্ডপের জন্য প্রতিমা নির্মাণ, সাজ-সজ্জার কাজ শেষ পর্যায়ে। জগন্নাথ বাড়ি কমপ্লেক্স, গুরুচক্র মন্দির, কালী বাড়ি মন্দির ছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশন ও বাঁশপাড়া কোয়ার্টার, পরশুরামে সাতঞ্জী বাড়ি মন্দির, ফুলগাজীর জগন্নাথ বাড়ি মন্দির, দাগনভূঞার কেন্দ্রীয় মন্দিরের বেশি সংখ্যক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে।সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, এসব মন্দির ছাড়াও সবকটি পূজা মণ্ডপে পুষ্পমাল্য ও বিলপত্রের মাধ্যমে পুষ্পাঞ্জলী, ধূপ ও কুশীর মাধ্যমে প্রতিমা আরতি, অষ্টমী ও নবমিতে অন্ন প্রসাদ ও পুরোহিত দ্বারা চণ্ডিপাঠসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা উদযাপন করা হয়।বিগত প্রায় একমাস ধরে শিল্পীরা নান্দনিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। ফেনীতে প্রতিমা তৈরির শিল্পী না থাকায় কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে শিল্পী এনে জেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করা হয়। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা নির্মাণে প্রকারভেদে ১৫ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা শিল্পীদের দিতে হয়।জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজীব খগেশ দত্ত জাগো নিউজকে জানান, শারদীয় দূর্গাৎসবের কাজ পুরোদমে চলছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এমজেড/পিআর
Advertisement