দেশের অন্যতম প্রধান টেলিফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) দেশজুড়ে সবার কাছে পরিচিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এসডিজির ১৭টি নতুন লক্ষ্য অর্জনে এবং এ লক্ষ্যকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ দেশের মানুষের জন্য বোধগম্য ও অর্থপূর্ণ করার প্রয়াস নিয়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ‘প্রজেক্ট এভরিওয়ান’ সফলভাবে সম্পন্ন করতে জাতিসংঘকে সহায়তা করার মাধ্যমে কাজ করবে। সমাজের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত ও টেকসই সমাজ বিনির্মাণে গ্রামীণফোনের নিজস্ব প্রয়াস ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ রূপকল্প এবং এর টেকসই লক্ষ্যমাত্রার উদ্যোগের প্রচারণা একইসাথে ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রচারণাকে উৎসাহিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি দেবাশীষ রায় বলেন, যে সব দেশে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে সেখানে জাতিসংঘকে সহায়তা করার যে অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠানের আছে তার অংশ হিসেবে আমরা এই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে ৭০০ কোটি মানুষকে এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানাতে জাতিসংঘ মোবাইল অপারেটরদের সহায়তা চেয়েছে। গ্রামীণফোন ইতোমধ্যে এ প্রকল্প সফলভাবে সম্পাদন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- গ্রাহকদের এসএমএস দেয়া; ফেসবুক, টুইটার, লিংকড ইন ও মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো; প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রচারণার জন্য ওয়েব আর্টিকেল, ডেস্কটপ ওয়ালপেপার তৈরি করা, গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজ এবং নিটল নিলয় টাওয়ারে এর কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার ও এর সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রচারণামূলক সজ্জা এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে এ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। গত সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ জাতিসংঘ এসডিজি কর্মসূচি শুরু করে। এসডিজি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নামেও পরিচিত। এ বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ধারাবাহিক প্রয়াসের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রতা দূরীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা। এ লক্ষ্যপূরণ হয়ে গেলে জাতিসংঘ পৃথিবীর প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও নিশ্চিত ভবিষ্যত বিনির্মাণে কাজ করবে। আর এ উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন পৃথিবীর সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হবে। জাতিসংঘের সহায়তায় ‘প্রজেক্ট এভরিওয়ান’ একটি উদ্যোগ যার লক্ষ্য ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে সবাইকে এসডিজি নিয়ে সচেতন করার জন্য বিশ্বজুড়ে টিভি, রেডিও, প্রিন্ট, ওয়েব, সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করা।প্রকল্পটিতে সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ, জাতিসংঘ ফাউন্ডেশন, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, উইকিপিডিয়া, সেভ দ্য চিলড্রেন, ভার্জিন, ইউনিলিভার ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।এসএ/এসকেডি/পিআর
Advertisement