বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ জীবদ্দশায় বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ফজলে হাসান আবেদ তার জীবনে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন।
Advertisement
শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর ওই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হার্ভার্ড ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-এর ভিজিটিং স্কলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এডাব)-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সময় তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ফেলো হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জেনেভার এনজিও কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভাসিটির ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন হেলথ রিসার্চ ফর ডেভেলপমেন্ট-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গণসাক্ষরতা অভিযান-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এনজিও ফোরাম ফর ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ইন্ডিপেনডেন্ট সাউথ এশিয়ান কমিশন অন পোভার্টি এলিভিয়েশন-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সার্ক-এর সাউথ এশিয়ান কমিশন অন পোভার্টি এলিভিয়েশন-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৪ এবং ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল মেয়াদে আইন ও সালিশ কেন্দ্র-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সাসেক্স ইউনিভার্সিটির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য এবং ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইডিএস)-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি), ফিলিপাইন-এর বোর্ড অব গভর্নরস-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি), ফিলিপাইন-এর ফাইন্যান্স অ্যান্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব অলটারনেটিভ ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (ইনাফি)-এর গ্লোবাল চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইউএন কমিশন অন লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অব দি পুওর (সিএলইপি)-এর কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘের তদানীন্তন মহাসচিব বান কি মুন স্যার ফজলে হাসান আবেদকে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ‘স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গে’র একজন হিসেবে নিযুক্তি প্রদান করেন। অশোকা স্যার ফজলে হাসান আবেদকে ‘গ্লোবাল গ্রেট’ স্বীকৃতিতে ভূষিত করেছে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ‘গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল আন্ট্রপ্রেনিওরশিপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০১০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউএন সেক্রেটারি জেনারেলস গ্রুপ অব এমিনেন্ট পারসনস ফর লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ (এলডিসি)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইউএন সেক্রেটারি জেনারেলস লিড গ্রুপ অব দি স্কেলিং এবং অশোকা গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল আন্ট্রোপ্রেনিওরশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
এইচএস/জেএইচ/এমএস
Advertisement