বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ মারা গেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
Advertisement
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন জমিদার। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ফজলে হাসান আবেদ তার জীবনে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। যেমন, সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার, গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের ‘নোবেল’ বলে খ্যাত ইয়াইদান পুরস্কার, দারিদ্র্য বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘নাইটহুড’ উপাধি ইত্যাদি।
এক নজরে ফজলে হাসান আবেদের যত পুরস্কার
Advertisement
>> র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ১৯৮০ (সামাজিক নেতৃত্বের জন্য)>> ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)>> এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)>> ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)>> দারিদ্র্য বিমোচন ও দরিদ্র নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)>> শোয়াব ফাউন্ডেশন ‘সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার’ (২০০২)>> গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)>> জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)>> সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার >> গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)
>> হেনরি আর ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)>> প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭)>> পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)>> ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)>> দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ সালে ‘নাইটহুড’এ ভূষিত>> এন্ট্রাপ্রেনিউর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯)>> ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১)>> সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)>> লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)>> বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)>> ইয়াইদান পুরস্কার (২০১৯)>> বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি তিনি।
এসআর/পিআর
Advertisement