সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে গিয়ে যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যত দ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসছে। দেশ দুটির শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এর আগে বুধবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বুধবার আইএসর অবস্থান লক্ষ্য করে অন্তত ২০ বার বিমান হামলা চালায় দেশটি। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের অবস্থানে এক বছর আগে থেকেই বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে। সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় দেশগুলো বাশারবিরোধী। বুধবার রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদ ফেডারেশন কাউন্সিল সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়টি অনুমোদন পায়। এর পরপরই আইএস জঙ্গিদের অবস্থানে বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। সম্প্রতি বাশারের বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো সমঝোতা করতে নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছে। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান অভিযান শেষ হওয়ার পর থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে এটাই রাশিয়ার প্রথম সামরিক হামলার ঘটনা। রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, তাদের বিমান অন্তত ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদ ফেডারেশন কাউন্সিল বুধবার সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়টি অনুমোদন করে। এর পরপরই আইএস জঙ্গিদের অবস্থানে বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান অভিযান সমাপ্ত হওয়ার পর থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে এটাই রাশিয়ার প্রথম সামরিক হামলার ঘটনা। রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ায় রুশ বিমানগুলো অন্তত ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।এদিকে, এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালানো মস্কোর আসল উদ্দেশ্য নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মিত্র সিরীয় নেতা বাশারকে ক্ষমতায় রাখতে এই হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।মার্কিন গণমাধ্যম ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এবং ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, বুধবার মার্কিন মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এদিকে ন্যাটো অভিযোগ করে বলছে, সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে হামলার বিষয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে নাম মাত্র সমন্বয় করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভারভ বলেছেন, অনিচ্ছাকৃত যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে দু`দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসতে পারে দু দেশ। আর এটা আজকের মধ্যেও হওয়ার সম্ভাবনা আছে।উল্লেখ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় গত চার বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ এখন পর্যন্ত অন্তত আড়াই লাখ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে আরো অন্তত এক কোটি দশ লাখ মানুষ।এসআইএস/পিআর
Advertisement