শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে খেলনা দেয়ার প্রলোভনে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শরীরে কামড় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুল আলম শেখ (৫২) নামে একজনের বিরুদ্ধে।
Advertisement
গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ভেদরগঞ্জ থানায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত নুরুল আলমের বাড়ি পশ্চিম পুটিয়া গ্রামে। ফুটপাতে খেলনা বিক্রি করেন। বাবার নাম আমির হোসেন শেখ।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটির শরীরে কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
শিশুটির পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার বিকেলে পশ্চিম পুটিয়া গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে আসে শিশুটি। রাতে ওই গ্রামের পশ্চিম পুটিয়া বাইতুল আমান ইসলামি সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এ সময় সে পাশের একটি দোকানে গেলে মালিক নুরুল আলম খেলনা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বুকে কামড়ে আহত করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে নুরুল আলম পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘পাষণ্ড নুরুল আলম আমার আদরের মেয়েকে কামড় দিয়েছে। ব্যথায় কান্না করেছে সে। আমি নুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বুকের দুই পাশেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মো. ছগির হোসেন/এমএমজেড/পিআর
Advertisement