বিনোদন

নিজের বয়স জানিয়ে দিলেন জয়া

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের বয়স নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে অনেক। শোবিজে জয়ার বয়স নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলতেই থাকে। ফেসবুক, কিছু গণমাধ্যমেও ছড়ানো হয়েছে বিভ্রান্তি। কখনো দাবি করা হয়েছে জয়ার বয়স ৪৪, কোথাও আবার সেটা ৪৭ বলা হয়েছে।

Advertisement

অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন এ ব্যাপারটি নিয়ে। তাদের মতে, যেখানে একজন নারীর বয়স জানতে চাওয়াকে ‘আনস্মার্ট’ অভ্যাস বলে ধরে নেয়া হয় সেখানে একজন অভিনেত্রীর বয়স নিয়ে কেন এ অযাচিত চর্চা? না, আর বয়স লুকানো নয়। এবার ভারতীয় এক গণমাধ্যমে নিজের বয়স জানিয়ে দিলেন জয়া। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী জানান, তার বয়স ৩৭ বছরের এক দিনও বেশি নয়। উইকিপিডিয়ায় তাকে নিয়ে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অনেক তথ্যই ভুল দেওয়া আছে।

এর আগেও একবার বয়স নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জয়া। তখন অবশ্য বয়স জানাননি। জয়া আহসান বলেছিলেন, ‘সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বয়স নয়। একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত তার কাজে। ৪৬ কিংবা ৫৬ কিংবা তার চেয়েও বেশি বয়স হলেই অভিনেত্রীরা কাজের অযোগ্য কিংবা তারুণ্যদীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না- এমন ধারণা বিশ্বের কোনো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিই পোষণ করে না। তাই ব্যক্তি জয়া আহসানের যে বয়স, তা নিয়ে আমি এতটুকু বিচলিত নই।

তবে ভুল তথ্য প্রচার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার উদ্দেশ্যে অনুরোধ করছি। বিশেষ করে আমার কাজ যারা পছন্দ করেন, দায়িত্বশীল যেসব সাংবাদিক আমাকে নিয়ে দুই কলম লেখার মতো যোগ্য মনে করেন, তারা ভবিষ্যতে বিষয়টি সংবেদনশীলভাবে দেখবেন বলেই আশা করছি। প্রকৃত সত্য হলো, ৪৬ বছর আগে আমার বাবা-মা’র বিয়ে তো দূরের কথা, দেখাও হয়নি।

Advertisement

এত দিন বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তবে ইদানিং বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করায় পরিবার ও কাছের বন্ধুদের অনুরোধে লিখতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, একজন শিল্পীর জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরবার আগে ন্যূনতম একবার তার সাথে কথা বলা উচিত। কারণ শুধু বয়স ভুলের তথ্যই নয়, বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার আরো দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে (প্রকৃত তথ্য: আমরা দুই বোন ও এক ভাই)।

বলা হয়, আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় (প্রকৃত তথ্য: গোপালগঞ্জ)। শুধু তাই নয়, আমার বাবার নামও লেখা হয় আলী আহসান সিডনী (প্রকৃত তথ্য: অভিনেতা জিতু আহসানের বাবা প্রখ্যাত অভিনেতা সৈয়দ আলী আহসান সিডনী। আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ)। রয়েছে আরো অনেক ভুল তথ্য। আশা করছি ভুল শুধরে ভবিষ্যতে আমরা প্রতিটি শিল্পী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করবো। কারণ ভক্তরা যেমন তার পছন্দের শিল্পী সম্পর্কে ভুল তথ্য কিংবা ভুল ব্যাখ্যা পড়তে পছন্দ করেন না, শিল্পীরাও প্রতিনিয়ত ভুল তথ্য দিয়ে ভক্তদের বিভ্রান্ত করতে চান না।’

বর্তমানে কলকাতার বেশকিছু ছবি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়া। মুক্তির অপেক্ষায় অতনু ঘোষের ‘বিনি সুতো’ ও ‘রবিবার’। এই প্রথম ‘বিনি সুতো’ ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী আর ‘রবিবার’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জয়া।

অন্যদিকে কৌশিক গঙ্গ্যোপাধ্যায়ের ‘অর্ধাঙ্গিনী’-তে একেবারে ভিন্ন মেজাজে দেখা যাবে জয়াকে। এছাড়া সৌকর্য ঘোষালের ‘ভূতপরি’ সিনেমায়ও অভিনয় করছেন জয়া।

Advertisement

এমএবি/এলএ/পিআর