চা ছাড়া একটি দিনও চলে না, এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। অনেকে তো দিনে কয়েক কাপ করে চা পান করে থাকেন। অফিসে, আড্ডায়, বাড়িতে- চা যেন সঙ্গী হয়েই থাকে। কাজের ফাঁকে একটু সতেজতার জন্য চায়ের কাপে চুমুক দিতেই হয়। এই চা নিয়ে অনেকে আবার বেশ শৌখিন। চায়ের নতুন নতুন স্বাদ নিতে ভালোবাসেন তারা। এক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় হলো সাত রঙের চা।
Advertisement
অনেকে মনে করেন চা পানের অভ্যাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, আসলে তা ঠিক নয়। চায়ের রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেয়া যাক। সেইসঙ্গে শিখে নিন কিভাবে ঘরেই তৈরি করতে পারবেন সাত রঙের চা-
চায়ের কিছু উপকারিতা:চায়ে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকার কারণে চা পান করলে কফির তুলনায় কম ক্ষতি হয়। তাই তো কফিকে টাটা বাই-বাই বলে আজ থেকেই সকাল বিকাল শুরু করুন চা পান।
চায়ে এমন কিছু এনজাইম থাকে, যা হার্টে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। তাই তো চিকিৎসকেরা দিনে কম করে দুবার লিকার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
Advertisement
চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে নার্ভ শান্ত হয়। সেইসঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়।
শরীরে কোথাও আঘাত লেগেছে? এককাপ মধু চা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সব কষ্ট কেমন নিমেষে কমে যাবে। আসলে মধু চা প্রদাহ হ্রাস করে। সেই সঙ্গে ক্ষতস্থানের ফোলা ভাব কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রতিদিন চা পান করলে ইউ ভি রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোষেরা রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
সাত রঙের চা তৈরির উপায়:প্রথমে ১ টেবিল চামচ চিনির সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে সিরা করে নিতে হবে।
Advertisement
পরিমাণমতো পানি এবং চা পাতা চুলায় জ্বাল দিয়ে লিকার তৈরি করে নিন।
১ টেবিল চামচ লিকার ও ১ চামচ সিরা মিশিয়ে রাখুন।
এরপর ২ টেবিল চামচ কনডেন্স মিল্কের সাথে ১ টেবিল চামচ লিকার মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার একটি কাপে প্রথমে প্লেইন সিরা ঢেলে নিয়ে ২০ সেকেন্ড পরে সিরা মেলানো লিকারটুকু দিতে হবে।
এর ৩০ সেকেন্ড পরে কনডেন্স মিল্কের মিশ্রণ দিতে হবে।
১ মিনিট পর বাকি লিকারটুকু গরম করে একদম কাপের ধার ঘেষে আস্তে আস্তে ঢালতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সাত রঙের চা।
এইচএন/এমএস