যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা কোম্পানি বোয়িং সাময়িকভাবে তাদের ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসে তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে।
Advertisement
ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩শ’র বেশি যাত্রী নিহত হন। দুটি বিমান দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ ছিল। তবে বোয়িং কোম্পানি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি অব্যাহত রেখেছিল।
এদিকে বোয়িং আশা করেছিল যে, চলতি বছরের শেষের দিকে এ বিমান আবারও উড্ডয়ন করতে পারবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, এত তাড়াতাড়ি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমানকে পুনরায় সনদ দেয়া হবে না।
বোয়িং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানকে নিরাপদে আকাশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে বলা হয়, ইথিওপিয়ায় প্রথম দুর্ঘটনার পর আরও একটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা।
ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেল বিমানের ডিজাইনে যদি পরিবর্তন না করা হয় তাহলে এর মেয়াদকালে এক ডজনেরও বেশি বিমান বিধ্বস্ত হতে পারে!
তারপরও ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ইথিওপিয়ায় দ্বিতীয় দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়নি। তবে এবার সেই ঘোষণা এলো।
এদিকে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি বন্ধ রাখায় ইতোমধ্যে সংস্থাটি ৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত সোমবার বোয়িং-এর শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গেছে।
Advertisement
বোয়িং বলছে, তাদের কাছে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের ৪০০ উড়োজাহাজ জমা রয়েছে। এসব উড়োজাহাজ ক্রেতাদের কাছে তুলে দেয়ার বিষয়টিতে তারা বেশি মনোযোগ দেবে।
বিশ্বের বহু এয়ারলাইন্স ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য বোয়িং-এর কাছে অর্ডার দিয়েছিল। তবে সেগুলো ক্রেতাদের কাছে তুলে দেয়া হয়নি। কারণ, বোয়িং-এর প্রকৌশলীরা ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজের সফটওয়্যার ঠিক করছেন।
সূত্র : বিবিসি
আরএস/জেআইএম