আন্তর্জাতিক

চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ সম্মাননা পেলেন যারা

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিক পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বিশ্বের পাঁচ শীর্ষ ব্যক্তিকে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক অচিম স্টেইনার তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরুপ প্রভাব মোকােবিলা করে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক অবদান রাখছেন এমন রাষ্ট্র নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বেসরকারি খাতের পাঁচ ব্যক্তিকে ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর ইউএনইপি এ পুরস্কার প্রদান করছে।এ বছর চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ সম্মাননা পেয়েছেন যারা :পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরি : উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব ফান্ড গঠন করেছে। দেশে পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন ক্যাটাগরি : ১২৭ বছর ধরে অলাভজনক সংস্থা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি বিজ্ঞান বিষয়ে কাজ করছে। একইসঙ্গে এ সংস্থাটি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা ও শিক্ষা কর্মসূচির জন্য কয়েক হাজার ফান্ড গঠন করেছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের আগ্রহ তৈরিতে অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার লাভ করেছে।ব্যবসা ও উদ্যোক্তা ক্যাটাগরি : বিশ্বব্যাপী টেকসই ও পরিবেশের জন্য ইতিবাচক ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে ইউনিলিভার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পল পোলম্যান ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।ব্রাজিলের প্রসাধন কোম্পানি নাচুরা ব্রাজিল : বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস সামগ্রী উৎপাদন করে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৬৯ সাল থেকে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনাকারী এ প্রতিষ্ঠানটি আর্জেন্টিনা, চিলি, কলোম্বিয়া, ফ্রান্স, মেক্সিকো ও পেরুতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। সামাজিকভাবে উদ্যোক্তা তৈরি ও ব্যবসা পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় নাচুরা ব্রাজিলকে এবছর চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।ব্ল্যাক মাম্বা অ্যান্টি পোচিং ইউনিট : দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণীর অবৈধ পাচার ঠেকাতে  কাজ করছে দেশটির ব্ল্যাক মাম্বা অ্যান্টি পোচিং ইউনিট। পরিবেশ ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছে এ সংগঠনটি। ব্ল্যাক মাম্বার অধিকাংশ সদস্যই নারী। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকে দেশটিতে বন্যপ্রাণীর অবৈধ পাচার অন্তত ৭৫ ভাগ কমে এসেছে। তাদের এ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এ বছর চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয় এ ইউনিটকে।এসআইএস/আরআইপি

Advertisement