পিরোজপুরে এবার আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা। তবে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। এরই মধ্যে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
Advertisement
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, পিরোজপুরে এবার ৫৯ হাজার ৩৪৪ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। যা থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে নিচু এলাকার কিছু ধানক্ষেত পড়ে ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এরপরও বাম্পার ফলন হয়েছে।
এ অবস্থায় ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করি কিন্তু ন্যায্য দাম পাই না। লোকসান গুনতে গুনতে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
কৃষকরা বলেন, কৃষকের ইরি-বোরোর ধান যখন শেষ সেই মুহূর্তে সরকার ধান কেনা শুরু করে। ফলে সিন্ডিকেট কম দামে ধান কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে পকেটে ভর্তি করে। এতে টাকাওয়ালা আরও অধিক টাকার মালিক হন; আমরা গরিব গরিবই থেকে যাই। তাই এবার শুরু থেকেই আমনের ন্যায্য মূল্য চাই আমরা।
Advertisement
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুহেনা মো. জাফর বলেন, কৃষক তার ফসল সঠিক দামে বিক্রি করে লাভবান হোক এটাই আমরাও চাই। সরকারি বিধিমতো আমরা সবসময় কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সঞ্জিত চাকমা বলেন, পিরোজপুরে কৃষকদের কাছ থেকে চার হাজার ৮০২ মেট্রিক টন ধান ও এক হাজার আট মেট্রিক টন চাল কেনার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আমরা কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চাই। সেক্ষেত্রে জেলা কৃষি বিভাগ যাচাই-বাছাই করে কৃষকদের যে তালিকা দেবে আমরা কেবল তাদের কাছ থেকেই ধান-চাল সংগ্রহ করব।
এএম/পিআর
Advertisement