পাবনার ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তোলন করা জাতীয় পতাকা নামিয়ে আবার প্রধান অতিথিকে দিয়ে উত্তোলনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনির শিকার হয়েছেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সোমবার সকালে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল লিটনকে মারধর করে আহত করে গ্রামবাসী। পরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে চরমিরকামারি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মুন্তাজ আলী বিশ্বাস, আবুল মুনছুর খান, ডাবলু বিশ্বাস ও জাকাত আলী বলেন, এলাকার স্কুলে আমন্ত্রিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল লিটন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে শহরে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে যান। শোভাযাত্রা শেষে তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টুকে নিয়ে স্কুলে যান।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তোলন করা জাতীয় পতাকা নামিয়ে পুনরায় প্রধান অতিথিকে দিয়ে তা উত্তোলন করা হচ্ছে দেখে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হন। তারা জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রধান অতিথি স্কুল ত্যাগ করেন।
Advertisement
এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান।
এদিকে সোমবার বিকেলে আহত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল লিটন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাহাজ উদ্দিন সরদার, শিক্ষক-অভিভাবক সভাপতি আব্দুল করিম, সদস্য মনোয়ার হোসেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক এমপি মঞ্জুর রহমান বিশ্বাসকে প্রধান অতিথি না করার কারণে তার লোকজন বিজয় দিবসের দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন, তারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এমবিআর/পিআর
Advertisement