খেলোয়াড়ি জীবনে লোয়ার অর্ডারে নেমে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের জন্য বিশেষ পরিচিত ছিলেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিক। ওপরের সারির ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থতার মিছিলে শামিল হতেন, তখন নিচের দিকে নেমে চার-ছক্কায় গ্যালারি গরম করতেন রফিক।
Advertisement
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরেও কমেনি ব্যাটের সেই ধাঁর। যার প্রমাণ মিললো আরও একবার। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ প্রীতি ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন রফিক। তার ব্যাটে ভর করেই ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে শহীদ মুশতাক একাদশ।
আজ (সোমবার) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে শহীদ জুয়েল একাদশ। সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন এহসানুল হক সিজান। এছাড়া সজল চৌধুরী ৪৬, শাহরিয়ার হোসেন ৩২, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ১৬, নাইমুর রহমান দুর্জয় ৫ ও খালেদ মাহমুদ সুজন ৩ রান করে।
একাদশে থাকলেও ব্যাট হাতে নামেননি তখনকার অন্যতম সেরা ব্যাটম্যান হাবিবুল বাহসার সুমন। শহীদ মুশতাক একাদশের পক্ষে ২টি উইকেট নেন শফিউদ্দিন আহমেদ।
Advertisement
রান তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ রফিক ও মেহরাব হোসেন অপির ১১৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে সহজ জয় পায় শহীদ মুশতাক একাদশ। জয়ের জন্য ৭ রান বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন রফিক। তার আগে খেলেন ৩৯ বলে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস। ব্যাট হাতে হাঁকান ৮টি চার ও ৫টি বিশাল ছক্কা।
মেহরাব অপি অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৪৮ রান করে। এছাড়া হারুনুর রশিদ ১২, জাভেদ ওমর ৬ ও জাহাঙ্গীর শাহ অপরাজিত থাকেন ২ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মোহাম্মদ রফিক।
শহীদ জুয়েল স্কোয়াডনাইমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার, আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, শাহরিয়ার বিদ্যুৎ, এনামুল হক মনি, সজল চৌধুরী, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাসির আহমেদ নাসু, এহসানুল হক সিজান, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, মোহাম্মদ সেলিম (উইকেটকিপার), হাসিবুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান রানা।
ম্যানেজার - গোলাম ফারুক চৌধুরী সুরু।
Advertisement
শহীদ মুশতাক স্কোয়াডমেহরাব হোসেন অপি, জাহাঙ্গীর আলম, হারুনুর রশিদ লিটন, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), ফারুক আহমেদ, জাভেদ ওমর বেলিম, মোহাম্মদ আলি, খালেদ মাসুদ পাইলট , তারেক আজিজ খান, মুশফিকুর রহমান বাবু, মোর্শেদ আলি খান সুমন, মোহাম্মদ রফিক, আনেয়ার হোসেন মনির, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু
ম্যানেজার: রকিবুল হাসান।
এআরবি/এসএএস/জেআইএম