প্রবাস

ওমান আর আগের মতো নেই

ওমানে আর আগের মতো ব্যবসা নেই। এ ছাড়া নানা কারণে দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য সম্ভাবনাও কমে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশ জাতীয়করণ করা হচ্ছে। ওমানেও একই অবস্থা শুরু হয়েছে।

Advertisement

ওমানের জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য কেন্দ্রের (এনসিএসআই) হিসাব অনুযায়ী দেশটি থেকে গত এক বছরে অভিবাসীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গত এক বছরে ৭০ হাজার ৭৮১ জন অভিবাসী ওমান থেকে তাদের নিজ দেশে চলে গেছেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় ওমানের অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় ওমানীকরণ করার কারণে এখন অনেকেই ওমান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওমান প্রবাসীরা।

সম্প্রতি ওমান থেকে ফেরত এসেছেন চট্টগ্রামের নুরুল আবসার। তিনি ওমানে দীর্ঘ ২০ বছর একটা পেশায় কর্মরত ছিলেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সমিতি ওমানের একজন সিনিয়র সদস্য ছিলেন। কোনো কারণ ছাড়াই তাকে ওমান গোয়েন্দা পুলিশ দেশে পাঠিয়ে দেয় এমন অভিযোগ তার।

Advertisement

গত এক বছরে নুরুল আবসারের মতো অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। আবার অনেকেই এখন আগের মতো ব্যবসা বাণিজ্য না থাকায় নিজেই চলে আসছেন দেশে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওমান সরকার বিদেশি শ্রমিকদের জন্য কনস্ট্রাকশন সেক্টরের কারপেন্টার, স্টিল ফিটার, অ্যালুমিনিয়াম, ইটের কারখানাসহ মোট ৮৭টি পেশার ভিসা বন্ধ করে দেয়।

টাইমস অব ওমানের সূত্রমতে, গত এক বছরে প্রায় ৯০টি পেশায় ওমানীকরণ করা হয়েছে। সেইসাথে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক পেশার ভিসা।

শুধুমাত্র শ্রমিক ক্যাটাগরির কিছু ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য খোলা থাকলেও আইটি, অ্যাকাউন্টিং, ফিনান্স, বিক্রয়, বিপণন, পরিচালনা, মানব সম্পদ, বীমা, মিডিয়া, মেডিকেল, বিমানবন্দর এবং প্রকৌশল খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য।

Advertisement

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওমানে সব মিলিয়ে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৯৭৫ জন। আর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এসে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৪ জন। অর্থাৎ গত এক বছরে ওমান ছেড়েছেন ৭০ হাজার ৭৮১ জন। ওমানে গত দুই বছরে নির্মাণ খাতে কর্মরত মোট প্রবাসীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এমআরএম/জেআইএম