বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভরত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লির দক্ষিণ অংশে জমায়েত বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়াসহ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
Advertisement
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার সন্ধ্যার দিকে বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ভাঙচুরসহ তিনটি বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করলে রণক্ষেত্রে রুপ নেয় এলাকাটি। পুলিশ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীতের জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পাঠানোর চেষ্টা করে।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রাজধানী শহরের বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির ভেতরে ও বাইরে সহিংসতার পর দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ ওখলা আন্ডারপাস থেকে সিরতা বিহার পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া বিক্ষোভকারীরা দিল্লি-মথুরা মহাসড়কে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, যেটি ওই কলোনির পাশেই অবস্থিত। এদিকে বাদারপর এবং আশ্রম চকের গাড়ি চলাচলের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ বলছে, একশ থেকে দেড়শো বিক্ষোভকারীরার সংখ্যা এখন হাজার ছড়িয়েছে। তাতে শিক্ষার্থী ছাড়া সাধারণ মানুষও রয়েছে।
Advertisement
সদ্যপ্রণীত নাগরিক আইনের প্রতিবাদে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আজকের এই সংঘর্ষের ঘটনার আগে গতকাল জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ভারতের পার্লামেন্ট অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করে।
বিক্ষোভ চলছে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়ম ও ত্রিপুরাসহ উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে। আসামের বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া আছে। রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ জানাচ্ছে মানুষে। পশ্চিমবঙ্গে ছয়টি ট্রেনে আগুন দেয়া বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এসএ/এমএস
Advertisement