বিভিন্ন সময় রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে প্যানেলভুক্ত রয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থী। প্যানেলভুক্ত এসব প্রার্থীর অনেকের আবার ইতোমধ্যেই সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে গেছে। নিয়োগ না পেয়ে হতাশার সঙ্গে বাড়ছে ক্ষোভ। সারাদেশের প্যানেলভুক্ত শিক্ষকরা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ প্রাইমারি প্যানেল শিক্ষক ফোরাম ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। একই দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধনও করেছে সংগঠনটি।২০১১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা ছাড়া ৬১ জেলায় রেজিস্টার্ড প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত নির্বাচিতদের নিয়ে নিয়োগের জন্য প্যানেল তৈরি করে ৪২ হাজার ৬১১ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রথম দফায় ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ায় মেধা তালিকার প্রথমদিকে থেকেও নিয়োগ বঞ্চিত হন অনেকে।এরপর ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী একযোগে সব রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অপেক্ষমাণ ২৬ হাজার প্যানেলভুক্ত প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় প্যানেলভুক্তদের হতাশা। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আশার সংবাদ না পেয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করলে প্রার্থীদের পক্ষে রায় দেন আদালত। এছাড়া সরকার পক্ষ আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তা খারিজ করে ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেন। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি তাদের।এজন্য আবারো গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্যানেলভুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জুয়েল আদালত অবমাননা মামলা করেন। আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর প্যানেলভুক্তদের ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগবঞ্চিতদের করা পৃথক ৩৬৭টি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারিকৃত রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।সূত্রে জানা গেছে, ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রদানের আদেশ সংক্রান্ত রায়ের কপি হাতে পেলে এ রায়ে বিরুদ্ধে আপিল করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।এদিকে এবারো যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হয় তাহলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৭ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন করবে বাংলাদেশ প্রাইমারি প্যানেল শিক্ষক ফোরাম।আরএস/আরআইপি
Advertisement