গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এখন বেশ পরিচিত। বিশেষ করে খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই সমস্যা বেড়ে যায়। আর এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন বেশিরভাগ ভুক্তভোগী। কিন্তু নিয়মিত ওষুধ খেতে থাকলে এক সময় তা আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Advertisement
ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা সহজ হবে। গ্যাস্ট্রিকের রোগীরা নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, মিষ্টি, দুধ, কফি, শুকনো মরিচ, গোলমরিচ, টক, খুব ঠান্ডা/গরম খাবারে সমস্যা বাড়তে পারে।৷ কী ধরনের খাবারে এমনটা হয়, তা খেয়াল করুন। নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন সেসব।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে ওজন ও ভুঁড়ি কমানো প্রয়োজন। শরীরচর্চা করুন। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।
Advertisement
স্ট্রেস থেকে শুধু যে গ বাড়ে এমন নয়, হৃদরোগ ও আরও অনেক জটিল ব্যাধিও বাড়ে। কাজেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ না খেয়ে স্ট্রেসকে বশে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খালি পেটে চা একদমই খাবেন না। লেবু চা ও গ্রিন টি খেলেও সমস্যা বাড়তে পারে।
দু’টি মূল খাবারের মাঝে ৪-৫ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। ঠিক রাখুন খাওয়া-ঘুমের সময়।
পেটের কাছে এঁটে বসে থাকে এমন পোশাক না পরাই ভালো।
Advertisement
সিগারেট ও মদে সমস্যা বাড়ে। মদ্যপান ও ধূমপান দুটিই ছেড়ে দিতে পারলে ভালো।
ব্যথার ওষুধ থেকেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে। যখন তখন ব্যথার ওষুধ না খেয়ে যে কারণে ব্যথা হচ্ছে তার চিকিৎসা করান।
রাতে দাওয়াত থাকলে দিনে হালকা খাবার খান। দাওয়াতে যাওয়ার আগে অল্প কিছু খেয়ে যান। ক্ষুধা কম থাকলে অনেকটা খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অল্প অল্প করে ঠান্ডা পানি খেতে থাকুন। দুই-এক ঘণ্টায় সমস্যা না কমলে ৪-৬ চামচ অ্যান্টাসিড খেতে পারেন।
এইচএন/পিআর