একটা সময় অপরাধ করলে তার শাস্তি হিসেবে যা কিছু পাওয়া হতো, তার মধ্যে অন্যতম হলো কান ধরে ওঠবোস। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া, ক্লাসে পড়া না পারা, হোমওয়ার্ক না করা, পরীক্ষায় ডাব্বা পাওয়া, ক্লাসে কথা বলা- অপরাধ যেমনই হোক, কখনো বেতের পিটুনি কখনো কান ধরে ওঠবোস, এই ছিল শাস্তি।
Advertisement
পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল তো? এখন অবশ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ হয়েছে শাস্তির নিয়ম। এ সময়ে স্কুলে ছেলেমেয়েদের শাস্তি প্রদান অপরাধের শামিল। কিন্তু সেসময় তা ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা। স্কুলে গিয়ে কোনো রকম শাস্তি না পেয়ে বাড়ি ফেরাই বরং ছিল বিস্ময়কর বিষয়।
কিন্তু জানেন কি, কান ধরে ওঠবোসের অনেক গুণও আছে। এমনকি এখনও দক্ষিণ ভারতের অনেক মন্দিরে পুজার একটা অঙ্গই হলো কান ধরে ওঠবোস করা। কারণ কান ধরে ওঠবোস করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মনঃসংযোগের ক্ষমতা বাড়ে।
নিয়মিত ভাবে কান ধরে ওঠবোস করলে মস্তিষ্ক সজাগ ও সতর্ক হয়ে যায়। এছাড়া এর ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
Advertisement
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কান ধরে ওঠবোস করলে মস্তিষ্কে অ্যালফা তরঙ্গের প্রভাব বাড়ে। কানের লতিতে টান পড়ায় মস্তিষ্কের অনেক কোষ জাগ্রত হয়ে ওঠে।
অনেক দেশেই কান ধরে ওঠবোসকে নিয়মিত ব্যায়াম হিসেবে করানো হয়। একে সুপার ব্রেন যোগা বলা হয়। আমেরিকায়ও এই বিষয়ে অনেক ওয়ার্কশপ করা হয়। তাই শাস্তি হিসেবে নয়, শরীরের উপকারের জন্য মাঝে মাঝে কান ধরে উঠবোস করাই যায়!
এইচএন/এমকেএইচ
Advertisement