আইন-আদালত

‘জামিন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে নজিরবিহীন কলঙ্কজনক অধ্যায়’

বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে ‘নজিরবিহীন কলঙ্কজনক অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপিপন্থী সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

Advertisement

তিনি বলেন, এ মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা) সাত বছরের সাজা পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে তিনি দেড় বছর সাজা খেটেছেন। তিনি বয়স্ক, অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। এ অবস্থায়ও যে তার জামিন আবেদন সুপ্রিম কোর্ট নাকচ করবেন, তা নজিরবিহীন ও কলঙ্কজনক অধ্যায়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশেও এ ধরনের জামিন আবেদন নাকচ করার নজির নেই।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন কথা বলেন।

Advertisement

খন্দকার মাহবুব বলেন, খালেদা জিয়া পঙ্গু অবস্থায় রয়েছেন। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। শুধু এই মেডিকেল গ্রাউন্ডেই নয়, বয়স, অসুস্থতা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের দরখাস্ত নাচক করে দিয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের রেকর্ডে যেভাবে আছে, সেভাবে তার চিকিৎসা করার কথা বলেছেন।

আপিল বিভাগ জামিন আবেদন নাকচ করায় এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতদিন আইনজীবীরা আছেন, ততদিন আইনি প্রক্রিয়াও থাকবে। দেখেন, কী হয়।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম, আদালত জামিন দেবেন। এর আগেও যেভাবে অন্যদের জামিন হয়েছে, সেভাবেই আমরা সাবমিশন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আদালত কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে বলেছেন। এটা খুব মামুলি একটি বিষয়।

Advertisement

জয়নুল বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নত চিকিৎসা হতো তা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি বিদেশে চিকিৎসা নিতেন না। এ মামলার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে এ বিষয়টি দেখা যাবে।

এফএইচ/এএইচ/পিআর