আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে নাটকের পর নাটক চলছে। আসগর আফগানের অধীনে দল বড় বড় সাফল্য পেয়েছে, কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগে এই আসগরকে সরিয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয় গুলবাদিন নাইবকে।
Advertisement
দায়িত্ব নিয়ে খুব স্বস্তিতে ছিলেন না গুলবাদিন। বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তার দল। পরে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ অধিনায়ক এমন ব্যর্থতার কারণ প্রকাশ করতে গিয়ে বোমা ফাটান। দাবি করেন, দ্বন্দ্বের কারণে কিছু ক্রিকেটার ইচ্ছে করেই খারাপ খেলেছেন।
তবু নিজের গদি রাখতে পারেননি গুলবাদিন। বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় তাকে সরিয়ে গত ১২ জুলাই তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় রশিদ খানকে। রশিদের অধীনে বাংলাদেশে টেস্টও জিতেছে আফগানিস্তান। কিন্তু আবারও বদলে দেয়া হলো নেতৃত্ব। ফেরানো হলো সেই আসগরকে। এই আসগরের সঙ্গে আবার প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব গুলবাদিনের। বিশ্বকাপে তিনি যখন অধিনায়ক, আসগর তাকে নানাভাবে অসহযোগিতা আর বিরক্ত করেছেন বলে দাবি গুলবাদিনের। আসগরের অধীনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলবেন না বলে এবার জানিয়ে দিয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
শুধু তাই নয়, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের মুখোশ খুলে দেবেন বলে টুইট বার্তায় হুমকিই দিয়ে রেখেছেন জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক। দুর্নীতিতে জড়িত সরকারি প্রতিনিধি থেকে বোর্ড সদস্য, ক্রিকেটার, সাবেক বোর্ড কর্মকর্তা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশের হুমকিও দিয়েছেন গুলবাদিন।
Advertisement
আসগরকে তিন ফরমেটের অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা আসার পরপরই টানা কয়েকটি টুইট করেন গুলবাদিন। এক টুইটে বলেন, ‘অনেকেই জিজ্ঞেস করতে পারেন, এই মাফিয়া চক্রের বিপক্ষে আমি আগে মুখ খুলিনি কেন? আমাকে সরিয়ে দিয়ে ক্রিকেট দলের সমস্যা খুঁজে বের করে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন এবং এই চক্রকে নিষিদ্ধ করার ওয়াদা করেছিল কর্তৃপক্ষ।’
আরেক টুইটে গুলবাদিন লিখেছেন, ‘এমন বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপারে কিছু করা হয়েছে? জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আমি সবার সামনেই প্রতিটি সরকারি প্রতিনিধি থেকে বোর্ড সদস্য, ক্রিকেটার, সাবেক বোর্ড কর্মকর্তা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করব। সঙ্গেই থাকুন।’
বিশ্বকাপে ইচ্ছে করে খারাপ খেলা ক্রিকেটারদেরও নাম প্রকাশ করার হুমকি দিয়েছেন গুলবাদিন। আরেক টুইটে তিনি লিখেন, ‘এই একই চক্রের যোগাযোগ রয়েছে উচ্চপদস্থ কিছু সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে। বোর্ড এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর এসব কর্মকর্তার প্রভাব রয়েছে। বোর্ডের কাছে কেউ কেউ খুব বিশ্রিভাবে স্বীকার করেছে, শুধু আমি নেতৃত্ব দেওয়ায় তারা নিজেদের খেলাটা খেলেননি।’
কেউ আবার মনে করতে পারেন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এসব কিছু বলছেন গুলবাদিন। নিজের অবস্থান তাই আরেকটি টুইটে পরিষ্কার করেছেন আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় আফগানরা, খেলোয়াড় এবং বোর্ডের ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমি এসব কথা প্রকাশ করিনি। দেশের ক্রিকেট ও মানুষ নিয়ে দুর্নীতি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অন্যান্য অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির পরিচয় আমি প্রকাশ করে দেব।’
Advertisement
এমএমআর/এমকেএইচ