আসামের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। এর প্রভাব পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের বাড়িতেও। বিক্ষোভকারীরা গিব্রুগড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ও ইট ছুড়েছে।
Advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের এক রক্ষী জানিয়েছেন, এই আক্রমণের জের ধরে বাড়ির জানালার বেশ কিছু কাঁচ ভেঙে পড়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দিব্রুগড়ের এসপি গৌতম বড়ুয়া। শুধু সর্বানন্দের বাড়ি নয়, দিব্রুগড়ের বিজেপি বিধায়ক প্রশান্ত ফুকান ও বিজেপির দিব্রুগড় জেলা সভাপতি সুভাষ দত্তের বাড়িতেও আক্রমণ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
আসামের গুয়াহাটি এলাকায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার থেকে আসামের ১০ জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বাতিল করা হয়েছে। গুয়াহাটিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদ চলছে।
দোকান-পাট, বাজার সব বন্ধ রয়েছে। যান চলাচলও বন্ধ আছে। বুধবার বিক্ষোভের কারণে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। তেজপুর সফর সেরে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামেন তিনি। কিন্তু সে সময় বাইরের পরিস্থিতি অশান্ত থাকায় সেখান থেকে আর বেরোতে পাড়েননি তিনি।
Advertisement
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম বাসিন্দাদের ভারতে নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো। বিশেষ করে আসাম ও ত্রিপুরা।
এদিকে উত্তর-পূর্বের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি শান্ত করতে আধা সেনা পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই দশ কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ানকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরিয়ে আসামে মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাদের সুবিধার্থে দিমাপুর থেকে একটি বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারিভাবে।
শুধুমাত্র আসামেই ২০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েনের কথা জানানো হয়েছে। বর্তমানে মনিপুরে ৭ কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। বাকি আরও ৩০ কোম্পানি আধাসেনাকে অন্য জায়গা থেকে সরিয়ে দ্রুত উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে বিএসএফকেও।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement