কারও মুখে একটু তিক্ত কথা শুনলেই আমরা বলে থাকি, নিশ্চয়ই ওর জন্মের পরে মুখে মধু দেয়া হয়নি! অর্থাৎ আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা হলো, জন্মের পরপরই মুখে মধু দিলে সেই শিশুর মুখের ভাষা মিষ্ট হয়। আর তাইতো নবজাতকের মুখে মধু দিয়ে বরণ করে নেয়ার চল বেশ পরিচিত।
Advertisement
কিন্তু জানেন কি, সেই রীতি মানতে গিয়ে আপনার ছোট্ট সোনামনিকে গুরুতর অসুস্থ করে ফেলতে পারেন! জন্মের পর প্রথম এক বছর পর্যন্ত শিশুকে মধু দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা।
জন্মের পর প্রথম এক বছর সন্তানকে দুধ ছাড়া নতুন কোন খাবারের সঙ্গে পরিচিত করাবেন, তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেবেন। তবে এই খাবারের তালিকায় কিন্তু মধু যোগ করবেন না ভুলেও।
মধুতে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্যগুণ থাকলেও তা শিশুর বয়স ১২ মাস না হওয়া পর্যন্ত তাকে দেওয়া যাবে না। কারণ মধুর মধ্যে থাকে ক্লসট্রিডিয়াম বটুলিনিয়াম নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। ছোট্ট শিশুর ক্ষেত্রে এটি খাদ্য বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যার থেকে শিশুর গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
Advertisement
মধু খাওয়ার ফলে শিশুদের মধ্যে তখনই অসুস্থতার লক্ষণ অনেক সময় দেখা যায় না। মধুর ক্ষতিকর প্রভাব ৮-৩৬ ঘণ্টা পরে দেখা যেতে পারে। এছাড়া শিশুর বয়স এক বছর হওয়ার আগেই তাকে মধু খাওয়ালে শিশুর দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মধু খাওয়ার পর শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, ঝিমুনিভাব দেখা দিলে তখনই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement