জাতিসংঘের যৌথ মিশনের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ৪ দিনব্যাপী সুন্দরবন পরিদর্শন শুরু করেছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের মোংলার ফুয়েল জেটি থেকে প্রতিনিধি দলটি বন বিভাগের অত্যাধুনিক নৌযান বন বিলাসে চড়ে সুন্দরবনে গেছেন।
Advertisement
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন বন বিভাগের উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধিরাও। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাদের সুন্দরবন থেকে ফেরার কথা রয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর এবং প্রকৃতি রক্ষার বৈশ্বিক সংগঠন আইইউসিএনের একটি যৌথ মিশনের ২ জন পুরুষ ও ২ নারী পরিবেশবিদ টানা ৪ দিন ধরে সুন্দরবনে অবস্থান করে পরিবেশগতভাবে হুমকির মুখে থাকা ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ এ বনের জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থান সরেজমিনে দেখবেন ও তথ্য-উপাথ্য সংগ্রহ করবে।
জাতিসংঘের যৌথ মিশনের প্রতিনিধি দলটি দুপুরে মোংলায় সুন্দরবন বিভাগের রেস্ট হাউজে এসে পৌঁছালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ইউনেস্কোর নয়াদিল্লী অফিসের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ফর ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের মিস্টার গাই ব্লাক, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সেন্টারের অ্যাকান নাকামুরা, আইইউসিএনের এলিনা অসিপভা ও এন্ড্রো ওয়াইট। জাতিসংঘের এ যৌথ মিশনটি সুন্দরবন পরিদর্শনের পাশাপাশি বনের আশপাশে অবস্থিত শিল্প কলকারখানা বিশেষ করে বাগেরহাটের রামপাল, বরগুনার তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিতব্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব ছাড়াও আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলার পশুর চ্যানেলসহ অন্যান্য নদী খননের ফলে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির উপর প্রতিবেশগত যে বিরুপ প্রভাব পড়বে তাও পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবেন।
Advertisement
এ যৌথ মিশনের দেয়া তথ্য-উপাথ্যের উপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ কমিটি সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির উপর প্রতিবেশগত হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত রির্পোট প্রকাশ করবে।
এ দিকে প্রতিনিধি দলের সুন্দরবন পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ বনে অবাঞ্চিত লোকজনের প্রবেশ ও সব ধরনের বনজ-জলজ সম্পদ আহরণ বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।
শওকত আলী বাবু/এমএএস/পিআর
Advertisement