ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কে বা কারা আগুন দিয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। বুধবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পৌনে ৫টার মধ্যে হাইকোর্টের মাজার গেট, ঈদগাহ মাঠের গেট ও বার কাউন্সিলের গেটের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, একইসময়ে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া নাশকতা বলেই মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
Advertisement
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেজাউল নামে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল জানান, আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিস্তারিত পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি কাল (বৃহস্পতিবার)। এর আগের দিন সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় এমন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো।
যদিও সর্বোচ্চ আদালতের আশপাশ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথ, আশপাশ ও আদালত চত্বরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
Advertisement
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিতই পুলিশ সদস্যরা থাকে। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আজ সুপ্রিম কোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে।
এআর/এসএইচএস/এমকেএইচ