বিপিএল শুরুর আগের দিন অন্যবার শেরেবাংলা ও তার আশপাশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ে, এবার তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। অন্য সময় খেলা মাঠে গড়ানোর আগের দিন বিকেল থেকে অনেক রাত অবধি হোম অব ক্রিকেটের বাইরে অপক্ষেমাণ দর্শক, ক্রিকেট অনুরাগীদের ভিড় চোখে পড়তো।
Advertisement
গতকাল (মঙ্গলবার) তা ছিল না। জটলা বেঁধে খেলা নিয়ে কথাবার্তা দূরের কথা, স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে ভেতরে কী হচ্ছে? তা দেখা নিয়েও ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারো। তখনই বোঝা গেছে দর্শক উৎসাহ, আগ্রহ এবার কম।
সত্যিই তাই। খেলা শুরুর আগে শেরেবাংলার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অন্তত ৩০০-৪০০ গজ এলাকায় পড়ে যায় সাজসাজ রব। রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এবার সব রাস্তাই খোলা।
খেলা শুরুর আধঘণ্টা আগে যখন টস হলো, তখনও স্টেডিয়াম প্রায় পুরোটাই খালি। টসের পরও হোম অব ক্রিকেটের পূর্ব দিকের সাধারণ গ্যালারিতে সাকুল্যে শ' দেড়েক দর্শকের দেখা মিলেছে। একই অবস্থা গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, ক্লাব হাউজগুলোতেও।
Advertisement
অবশ্য সেটারও একাধিক কারণ আছে। আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোয় একটা সুবিধা ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিজ নিজ সমর্থকদের জন্য সৌজন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতো। তাতে বাড়তি সমর্থনপুষ্ট হয়ে খেলার সুযোগ থাকতো। কিন্তু এবার যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই, তাই সে সুযোগও নেই।
এখন সৌজন্য টিকিটে খেলা দেখার সুযোগ ও সম্ভাবনা দুই-ই গেছে কমে। তার সাথে সাধারণ গ্যালারির টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা। শেষ পর্যন্ত বিপিএল দর্শক টানতে পারবে কি না? পারলেও কতটা পারবে? আগের মতো শেরেবাংলা ক্রিকেট অনুরাগীদের সরব উপস্থিতিতে বিপিএল উত্তেজনায় মেতে উঠবে কি না? সেটা আসলে সময়ই বলে দেবে।
তবে সেক্ষেত্রে মাঠের লড়াইটাও জমতে হবে। হাই স্কোরিং গেম হওয়া খুব জরুরি। উইকেট শতভাগ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হওয়াও যে দরকার। ব্যাটসম্যানরা হাত খুলে শটস খেলতে পারলে চার ও ছক্কার ফুলঝুরি ছুটবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রানের নহরও বইবে। তাহলেই কেবল টি টোয়েন্টির প্রকৃত আস্বাদন মিলবে। তা হলেই কেবল দর্শক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এআরবি/এসএএস/জেআইএম
Advertisement