১২ ডিসেম্বর ব্রিটেনে ভোরের সূর্য উঠবে নতুন এক বার্তার অপেক্ষায়, ইউরোপের সাথে অর্ধ শতাব্দীর সম্পর্কের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ব্রিটেনের জনগণ। ২০১৯ সালের এই নির্বাচনটিকে অঘোষিত দ্বিতীয় গণভোটও বলা যায়। ব্রিটিশ জনগণের হাতে আরো একবার সুযোগ তৈরি হলো ব্রেক্সিট ইস্যুতে তারা কোন সরকারের হাতে সমাধান চায় সেটা বলবার। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে জরিপকারী সংস্থা অপিনিয়াম বলছে, কনসারভেটিভের সরকার গঠনের সম্ভাবনা ৪৬% আর লেবারের ৩১% । ইপসস মরি'র জরিপে কনসারভেটিভ ৪৪% আর লেবার ৩২ % আসনের কথা বলছে।
Advertisement
গত ১০ ডিসেম্বর ইউগভ' ও পোল ট্রেকারের জরিপে কনসারভেটিভ ৪৩%, লেবার ৩৩% জনপ্রিয়তার সূচক প্রকাশ করেছে। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, জেরিমি করবিনের লেবার পার্টি ধারাবাহিকভাবে ৮ থেকে ১০ শতাংশ সমর্থনে পিছিয়ে রয়েছে। ইউগভ ইলেকট্রনিক সেন্টারের প্রকাশিত সম্ভাব্য ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কনসারভেটিভ প্রায় ৩৫৯ টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বিরোধী দল লেবার পার্টি ২১১ টি আসন ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির ৪৩ টি আসনে জয় লাভ করতে পারে। যদিও ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে এধরনের সংস্থার জরিপ ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তবুও ভোটারদের মধ্যে এধরনের আগাম জরিপের প্রতি আস্থা এখনো রয়েছে। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হলে ৩২৬ টি আসনের প্রয়োজন। থেরেসা মে'র নেতৃত্বে নির্বাচনে কনসারভেটিভ ৩১৭ টি আসন পেয়েছিলো, লেবারের আসন সংখ্যা ছিলো ২৬২ টি। ডিইউপি'র ১০টি আসন নিয়ে যৌথ ভাবে সরকার গঠন করেছিল টোরি।
নির্বাচনে যে ইস্যুগুলো সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ব্রেক্সিট। ''গেট ব্রেক্সিট ডান'' এই শ্লোগান নিয়ে কনসারভেটিভের অন্যতম এজেন্ডা হলো নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা। যে কোন মূল্যে আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২০ সালের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী টোরি নেতা বরিস জনসন। অন্যদিকে লেবার লিডার জেরিমি করবিন 'ম্যানিফেস্টো ফর হোপ'কে সামনে রেখে তিন মাসের মধ্যে ব্রাসেলসের সাথে দর কষাকষি করে ৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় গণভোট দিয়ে ব্রেক্সিট ইস্যুতে পুনরায় জনগণের মতামত জানতে চাইবেন। ব্রেক্সিট নিয়ে জেরিমি করবিনের পরিষ্কার কোন বক্তব্য নেই, জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করেই তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে এগোতে চান। বরিস জনসনের বক্তব্য হলো লেবার ক্ষমতায় গেলে দুইটি গণভোট হবে। প্রথমটি ব্রেক্সিট ইস্যুতে, দ্বিতীয়টি স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে। এই দুই গণভোটের চক্করে পড়ে ব্রিটেনের অর্থনীতির দফারফা হয়ে যাবে। ব্রিটিশ জনগণ আবারো দীর্ঘ একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে না পারায় বিগত সাড়ে ৩ বছর ব্রিটেনের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে আর কোন দেরি করতে চান না বরিস।
নির্বাচনী দৌড়ে লেবার নেতা জেরিমি করবিন সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন এনএইচএস বা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ইস্যুতে। স্বাস্থ্যখাতে ৪০ বিলিয়ন পাউন্ড এনএইচ এসের জন্য ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার। অন্যদিকে বরিস জনসন ক্ষমতায় এসে ৪০ টি হাসপাতাল তৈরির কথা বললেও সেটি পরে ২০ এ নেমে আসে। চূড়ান্ত ভাবে দেখা গেছে বরিসের মেয়াদকালে মাত্র ৬ টি হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে, এমনটাই দাবি লেবার লিডার করবিনের। বরিস জনসন অবশ্য বলছেন, তার সরকারের ১৩০ দিনের মেয়াদে ৬ টি হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে বাকি সময়ের মধ্যে মোট ৪০ টি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। করবিন যেখানেই যাচ্ছেন তার হাতে কনসারভেটিভের একটি সিক্রেট ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে ভোটারদের দেখাচ্ছেন। ৪৫১ পাতার এই ডকুমেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এনএইচএস বিক্রি করে দেওয়ার খসড়া রয়েছে। লেবার কোনভাবেই ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের দায়িত্ব মার্কিন কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে দেবে না বলে বদ্ধপরিকর। ব্রিটিশ জনগণ এই বক্তব্য বেশ ভালো ভাবেই গ্রহণ করেছে। যদিও বরিস জনসন তার টিভি বিতর্কে বহুবার পরিষ্কার করেছেন কোন ভাবেই তিনি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবেন না, লেবারের এধরনের বক্তব্য সঠিক নয়। তবে নির্বাচনে লেবার এনএইচসের সিক্রেট ডকুমেন্ট ফাঁস করে দেওয়ার ইস্যুটি ভোটারদের প্রভাবিত করবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
Advertisement
কনসারভেটিভ সরকার ক্ষমতায় এসে উচ্চশিক্ষায় বিশাল অংকের টিউশন ফি ধার্য করেছিল। লেবার তার ইশতিহারে বলেছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি মওকুফ করবে। লেবার পার্টির এই ঘোষণা তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করছে। তবে রেল সার্ভিসকে ব্যক্তিমালিকানা থেকে জনগণের মালিকানায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। ধনীদের উপর কর আরোপ করে সাধারণ জনগণের জন্য ব্যয় করতে চান জেরিমি করবিন। ব্রিটেনে যেখানে ৪ মিলিয়নের বেশি শিশু দারিদ্র্যতায় ভুগছে সেখানে ১৫০ জন বিলিওনিয়ারের সংখ্যা সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। লেবার পার্টি শুধু ধনীদের জন্য নয়, সকলের জন্য একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে চায়। টেলিভিশন বিতর্কে করবিনের কাছে প্রশ্ন ছিলো, আদৌ তার সমাজতন্ত্রের মডেল ব্রিটেনে কাজ করবে কিনা? স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে করবিন বলেন, বৈষম্যহীন সমাজতন্ত্র পৃথিবীর বহুদেশে কার্যকর। অন্যদিকে বরিস জনসন ক্যাপিটালিজমকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা লেবার নীতিকে সমর্থন করেন না। তিনি ব্যবসায়ীবান্ধব সমাজের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
কনসারভেটিভ ক্ষমতায় গেলে ইমিগ্রেশন আইন কঠোর হবে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বরিস জনসন। অস্ট্রেলিয়ান পদ্ধতিতে পয়েন্ট বেইজড ইমিগ্রেশন পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব বরিস জনসনের। অন্যদিকে লেবার বরাবরই অভিবাসীবান্ধব রাজনৈতিক দল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড়ো অংশ লেবারের অন্ধ সমর্থক। লেবার পার্টি থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পার্লামেন্টারিয়ান রয়েছেন পার্লামেন্টে। লেবার ক্ষমতায় থাকলে ইমিগ্রেশনবান্ধব নীতির প্রতি সমর্থন থাকবে এই দলটির।
ব্রেক্সিটের পর কোন সীমানা তল্লাশী বা ট্যারিফ ছাড়াই ইউরোপ থেকে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে প্রবেশ করা যাবে, বরিস জনসনের এমন সরকারি গোপনীয় তথ্য ফাঁস করেছেন লেবার লিডার জেরিমি করবিন। এই চুক্তিতে আইরিশ সাগরে কোন সীমানা থাকবে না এমন প্রস্তাবনা রয়েছে। কিন্তু থেরেসা মে'র সরকার ইউরোপের সাথে একটি খসড়া চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল, নতুন কোন বাণিজ্য চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সাথে ইউরোপের একক বাজার হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই আইরিশ ব্যাকস্টপ ইস্যুটি নির্বাচনের ফলাফলে ভূমিকা রাখবে।
ইসলামোফোবিয়া বরাবরই ব্রিটেনের নির্বাচনে ইস্যু। বরিস জনসন হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীদের ব্যাংক ডাকাত ও লেটার বক্সের সাথে তুলনা করে মুসলিম ভোটারদের আহত করেছেন। পার্টির সম্মেলনে নিজ দলের এমপিদের সমালোচনার মুখে পরবর্তীতে অবশ্য বরিস মুসলিম নারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যদিকে ইহুদী বিদ্বেষের কারণে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন লেবার লিডার জেরিমি করবিন। প্রধান রাবাই আফরাম মারভিস বলেছেন জেরিমি করবিন তার দলে ইহুদী বিদ্বেষ দমনে ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বের জন্য যোগ্য নন। জেরিমি করবিন যদিও পরিষ্কার করেছেন, তার দলে ইহুদী বিদ্বেষের কোন স্থান নেই, তবুও আশ্বস্ত করা যাচ্ছে না ইহুদি ভোটারদের। কোন কোন ইহুদিদের ধারণা, লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে পারে লেবার পার্টি। তাই ইহুদিদের বড় একটা অংশ লেবার পার্টির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনে নেমেছে।
Advertisement
অন্যদিকে মুসলমান ভোটাররা পার্লামেন্টের প্রায় ৩০ টি আসনের ফলাফল বদলে দেওয়ার মতো প্রভাব ফেলতে পারে এমন পরিসংখ্যানও আলোচনায় এসেছে, যেমন হ্যানডন এলাকায় ২০১৭ সালের নির্বাচনে ১০৭২ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে টোরি, যেখানে মুসলিম ভোটার ৬২০০। রিচমন্ড পার্ক এলাকায় ৪৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছে কনসারভেটিভ প্রার্থী যেখানে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। ব্রিটেনের মুসলিম ভোটারদের কেউ কেউ মনে করছে, যদি মুসলিম ভোটাররা মাঠে নামে তাহলে লেবারের আসন বাড়বে। তবে জনমত জরিপে কনসারভেটিভের জয়ের পাল্লা যতটা ভারী লেবারের পরাজয়ের যুক্তিও কম নয়। এই নির্বাচনে লেবারের টার্গেট মূলত একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট। টোরি মেজরিটি না পেলে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিকে সাথে নিয়ে লেবারের মাইনরিটি সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে কনসারভেটিভের টার্গেট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন। ইতিমধ্যে জরিপ সংস্থাগুলো বলছে, টোরি লেবার পার্টি থেকে কমপক্ষে ৬৮ আসন বেশি পাবে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে থেরেসা মে'র জনপ্রিয়তা ছিলো ৪২.৩ শতাংশ। বরিসও থেরেসা মের মতো সমান জনপ্রিয়তার সূচকে রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কনসারভেটিভের বর্তমানে পার্লামেন্টের ৩১৭টি আসনের বিপরীতে ব্রেক্সিট পার্টি কোন প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা টোরিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সহায়তা করবে। পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০১৫ সালের নির্বাচনে নাইজেল ফারাজের ইউকিপ নামের রাজনৈতিক দলটি ১২.৬% ভোট পেয়েছিলো। ভোটের অংক হিসবে ব্রিটেনের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটি কনসারভেটিভের জয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে চুকা ওমনার মতো জনপ্রিয় লেবার নেতাদের সমন্বয়ে গঠিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি লেবারের ভোট কমাবে। ব্রিটেনের ইতিহাসে লেবার পার্টির অন্যতম জনপ্রিয় নেতা, তিনবারের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার জেরিমি করবিনের প্রতি সমর্থন না দেওয়া ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। নির্বাচনের দুই মাস আগে লেবার পার্টির কনফারেন্সে কাশ্মির ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বক্তব্য দেওয়ায় পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত লেবার সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ রয়েছে। লেবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব জেরিমি করবিনের ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে টোরির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বিক্রয় চুক্তি ফাঁস হয়ে যাওয়া। অন্যদিকে লেবার নেতা জেরিমি করবিনের বড় ব্যর্থতা, নির্বাচনের আগে ব্রেক্সিট ইস্যুতে তার দৃষ্টিভঙ্গির অস্পষ্টতা।
নির্বাচনের পূর্বে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেওয়া ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের একটি রীতি। যদিও শুরুতে বিবিসির অ্যান্ড্রু নিলের রাজনীতি বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বরিস জনসন। বরিসকে বিবিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, বরিস যদি বিবিস'র শোতে অংশ না নেন তাহলে বিবিসি'র আর কোন অনুষ্ঠানে বরিসকে কথা বলতে দেওয়া হবে না। 'ঠেলার নাম বাবাজি!' বরিস রাজি হলেন। ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন বিতর্ক খুবই জনপ্রিয়, সাধারণ ভোটাররা নেতাদের বক্তব্য দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন কে হবেন তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি'র টেলিভিশন বিতর্ক শেষে টোরি নেতা বরিস জনসন ৫২% সমর্থন পেয়েছেন আর লেবার নেতা জেরিমি করবিন ৪৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে ১৩ ডিসেম্বর ভোরে।
ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে এবারও অর্ধ ডজনের বেশি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লেবার দলের চার বাঙালি সেইফ সিটে লড়বেন। বেথনালগ্রীন ও বো আসন থেকে রুশনারা আলী, হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দীক ও এ্যাকটন আসন থেকে ড. রুপা হকের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। অন্যদিকে পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা পপলার এন্ড লাইম হাউজ আসন থেকে অপর বাঙালি লেবার প্রার্থী আপসানা বেগমের অভিষেক ঘটতে পারে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট, একাত্তর টেলিভিশনের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি।
এইচআর/জেআইএম