বিপদে পড়ে হোক কিংবা ভুল করে, মিথ্যা মানুষ বলেই। কখনো কখনো মিথ্যা বলাটাই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। কারো কারো মিথ্যা কথা খুব সহজেই বুঝতে পারা যায়। আবার কেউ কেউ খুব সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যা বলেন। তাদের কথা শুনে বোঝাই যায় না যে তারা মিথ্যা বলছেন। আর তাদের কথা শুনে বিভ্রান্ত হতে হয়। মিথ্যাবাদীর ফাঁদে পড়ে অনেকেই বিপদে পড়েন।
Advertisement
একটু সচেতন হলেই কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা, তা নির্ণয় করা যায়। আর সেই কাজটি আরো সহজ করে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত একটি গবেষণা। বিজ্ঞানীদের একটি দল মানুষের কথাবার্তা এবং আচার-আচরণের ওপর দীর্ঘ গবেষণা করে কিছু মাপকাঠি নির্ণয় করেছেন যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই নির্ণয় করে ফেলা যায় কে মিথ্যা বলছে, আর কে সত্য। চলুন জেনে নেয়া যাক-
মিথ্যা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মনোযোগী হয়ে কথা শোনার কোনো বিকল্প নেই। একজন অপরাধীর মতো একজন মিথ্যাবাদীও যখন কোনো মিথ্যা বলে তখন নিজের অজান্তে এমন কিছু প্রমাণ রেখে যায়, যা তার জন্য কাল হয়। প্রায়শই খেয়াল করবেন যখন কোনো আগাগোড়া মিথ্যে গল্প আপনাকে শোনানো হয় তখন দেখা যায় এগুলোতে অল্পবিস্তর গড়মিল থেকে যায়।
এফবিআই কর্মকর্তা মার্ক বুটন বলেন, মানুষ যখন কোনো বিষয় বলতে গিয়ে অস্বস্তি অনুভব করে, তখন তার চোখের মণি এদিক সেদিক নড়াচড়া করে। এর দ্বারা বোঝা যায়, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে ইচ্ছুক নয়। যখন কেউ মিথ্যা বলে, তখন সে পরপর পাঁচ-ছয়বার খুব দ্রুত চোখের পাতা ফেলতে পারে। মার্ক বুটনের মতে, সাধারণত মানুষ প্রতি মিনিটে পাঁচ থেকে ছয়বার, অর্থাৎ প্রতি ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা ফেলে।
Advertisement
বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী কাডির মতে, সামনের মানুষটি মিথ্যা কথা বলছেন কিনা, সেটা ধরার জন্য খেয়াল করুন তার কথার সঙ্গে চেহারার অভিব্যক্তির মিল আছে কি নেই। এমন ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় মিথ্যাবাদী ব্যক্তির গলায় হয়তো খুশির আভাস দেখা যায়, কিন্তু চেহারায় থাকে দুশ্চিন্তার ঝলক।
এছাড়াও অনেকে মিথ্যে কথা বলার সময় কৃত্রিম হাসি দিয়ে শ্রোতাকে আশ্বস্ত করতে চায় বা তার বিশ্বাস অর্জন করতে চায়। এছাড়াও অতিরিক্ত মিথ্যা বলতে গেলে হাঁচি, কাশি অনেক কিছুরই আশ্রয় নিতে হয়। ফলে খুব সহজেই আপনি বুঝে যাবেন।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement