একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আটক রিয়াজ ফকির ও পলাতক ওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে (ফরমাল চার্জ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতিরা হলেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও মোহাম্মাদ সোহরাওয়ার্দী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা। অপর দিকে আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম। প্রসিকিউশনে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।এর আগে প্রসিকিউশনের পক্ষে ২ মাসের সময় আবেদন করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা। সময় আবেদন শুনানির পর ফরমাল চার্জ বা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।উল্লেখ্য, এর আগে ময়মনসিংহের ভালুকজান গ্রামের শহীদ তালেব মণ্ডলের ছেলে খোরশেদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এজাহারে বলা হয়, খোরশেদ আলীর বাবা তালেব মণ্ডলকে আখিলা নদীর ব্রিজের ওপর দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থানা রাজাকার বাহিনীর প্রধান আমজাদ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান রিয়াজ ফকিরের নেতৃত্বে । এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমজাদ আলী ও রিয়াজউদ্দিন ফকির হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধে নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাসহ বহু মানুষকে হত্যা ও পাটিরায় দুই হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১২ আগস্ট ময়মনসিংহ থেকে আসামি রিয়াজ ফকির ও আমজাদ হাজীকে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ পুলিশ ও ১ আসামি (আমজাদ হাজি) গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আমজাদ হাজিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের একজন অসুস্থ থাকায় বাকি একজনকে (রিয়াজ ফকির) ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে এর কিছুদিন পরেই মামলার অন্য আসামি আমজাদ হাজী চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। এফএইচ/এআরএস/আরআইপি
Advertisement