আইন-আদালত

প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীতে রুল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো দশম গ্রেডে উন্নীত করে সে অনুযায়ী বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

একই সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তসহ সব প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন, অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার ও মো. জে আর খান রবিন।

Advertisement

টাঙ্গাইলের আতাবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন প্রধান শিক্ষক এ রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন আদালত।

আইনজীবী জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। একই সঙ্গে তাদের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে রাখা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদমর্যাদার কর্মচারীদের বেতন কাঠামো রাখা হয়েছে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডে। এ কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে রাখা অবৈধ, বেআইনি ও অসাংবিধানিক।

এফএইচ/এফআর/এমকেএইচ

Advertisement