১৯৭৫ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্রের মানুষদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চালু করা হয় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রথা। এখন পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার।
Advertisement
চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন বিভাগে এ পুরস্কার দেয়। প্রতি বছরই শিল্পীরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এর আগে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারটি দেওয়া হতো না। ২০০৯ সালে এটি প্রথম চালু করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ডিসেম্বর প্রদান করা হলো ২০১৭ (৪২তম) ও ২০১৮ (৪৩তম) সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
পুরস্কার হিসেবে কী পান বিজয়ীরা? এই কৌতূহল সবার। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদকের রেপ্লিকা দেয়া হয়েছে পুরস্কারজয়ীদের। সঙ্গে দেয়া হয় একটি সম্মাননাপত্র।
Advertisement
আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে নগদ দেয়া হয় ৩ লাখ টাকা। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে দেয়া হয় ২ লাখ টাকা করে। এছাড়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককেও ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়।
প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে নগদ ২ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়া পার্শ্বচরিত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয় সম্মানী।
তবে অর্থের মানদণ্ডে এই স্বীকৃতি বা পুরস্কারকে কেউ বিচার করেন না। এটিকে সব শিল্পী কলাকুশলী রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই দেখেন, যা প্রাপ্তির খাতায় চিরদিনই অমূল্য।
এলএ/জেআইএম
Advertisement