জাতীয়

চিংড়ি চাষের কারণে নৌপথের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে

স্থানীয় কিছু সংখ্যক জনপ্রতিনিধি ও সরকারদলীয় লোক মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সংলগ্ন সরকারি খালগুলো দখল করে শত শত বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে চিংড়ি চাষ করছে ফলে নৌপথের দু`দিকে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।স্থানীয় প্রশাসন প্রচলিত আইন প্রয়োগ করে সেসব খাল অবৈধ দখলমুক্ত ও পরিবেশনাশী চিংড়িঘের উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনকে বাঁচাতে প্রকল্প সংলগ্ন রামপাল ও মংলা উপজেলায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিদ্যমান সংকট নিরসন করতে হবে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রাষ্ট্রীয় কোষাগারের তথা জনগণের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে বছর জুড়ে খনন কাজ অব্যাহত রাখলেও কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।সুন্দরবন রক্ষায় `মংলা-ঘাষিয়াখালী` নৌপথ দ্রুত সচল করতে বাগেরহাটর রামপাল মংলায় অবিলম্বে `স্টেট এমারজেন্সি (রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা) ঘোষণা ও সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবিও জানান তারা।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন  সংগঠনের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান,যুগ্ম সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম, আশীষ কুমার দে,  পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ইনামুল হক,সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম প্রমুখ।আএসএস/এসকেডি/পিআর

Advertisement