রংপুরের মাহীগঞ্জ তাজহাট নদীরপার বিহারীপাড়া এলাকায় চোলাইমদ পান করে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার মৃত শরীফ মন্ডলের ছেলে আমিন আলী বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।এদিকে, মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ১০০ গজ দূরে চোলাই মদ বিক্রি ও সেবনের কারণে মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল আজিজ পিপিএম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসানুর রহমান ও কনস্টেবল বকতারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করাসহ ৭ কনস্টেবলকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলে কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার তাজহাট বিহারীপাড়ায় শহিদের ছেলে মিঠু মিয়ার বাড়িতে বসে মদপান করে মঙ্গলবার ভোরে নাসিম, গফুর এবং আজমেরী মারা যান এবং অন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মজিদ ও মনু মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মনু ও নাসিমের বড় ভাই আমিন বাদি হয়ে মদ বিক্রেতা সাইয়া ও মিঠুকে প্রধান আসামি করে নারীসহ ২৪ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।ওসি আরো জানান, পুলিশ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আয়নাল, আমজাদ, আসমা, আনোয়ার হোসেন বাবু, বিজয় রাম, আজিজুল ইসলাম, তারাবানু, আজিজ ওরফে দুলাল, গিয়াস, কদবানু, মমতাজ বেগম, পারভীন, মামুন, রতন রাম, দিলীপ কুমার, জুলহাজ, কুলসুম বেগম, রাবেয়া, পপি ও দেলোয়ার হোসেন।এদিকে, মদ ব্যবসায়ী মিঠু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বুধবার রংপুর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।এর আগে মাহিগজ্ঞ এলাকা থেকে শত শত নারী পুরুষ মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কাছারী বাজার এলালায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। তারা অভিযোগ করে বলেন, মাহিগজ্ঞ পুলিশ ফাঁড়ির মাত্র ১০০ গজ দূরে মাদক ব্যবসায়ী মিঠু তার বাড়িতে চোলাইমদ বিক্রি করতো। এ ব্যাাপারে বার বার পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং মাসোহারা নিয়ে মদ বিক্রিতে সহায়তা করেছে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আজিজ। তারা দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন। এসএস/এমএস
Advertisement