ধর্ম

গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হকের ইন্তেকাল

রাজধানীর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের সাবেক খতিব ও ইমাম মাওলানা শামসুল হক গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Advertisement

মাওলানা শামসুল হকের মৃত্যুতে দেশব্যাপী আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

তিনি দীর্ঘদিন গুলশান আজাদ (কেন্দ্রীয়) মসজিদে খতিব ও ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গাজীপুরের হোতাপাড়ার শামছাবাদ দরবারের পীর ছিলেন।

শুক্রবার বাদ জুমআ গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারও মুসল্লির ঢল নামে। মসজিদ প্রাঙ্গণসহ পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

Advertisement

জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মহাখালী হোসাইনি কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

শনিবার সকাল ১০টায় গাজীপুরের হোতাপাড়ায় শামছাবাদ দরবারের তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার ভক্ত মুরিদীন মুহিব্বিনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগতরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। তাকে গাজীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা কামালউদ্দীন জাফরি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও মসজিদে গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আ খ ম আবুববকর সিদ্দীক, মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ছারছিনা পীর সাহেবের ছোট ছাহেবজাদা মাওলানা ইউনুস আল আজহারীসহ দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামরা।

দেশের প্রবীণ আলেমদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাওলানা শামসুল হক। দলমত সবার কাছে তার ছিল আকাশচুম্বী গ্রহণযোগ্যতা।

Advertisement

তিনি স্ত্রী, সাত ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ছেলে-মেয়েরা সবাই আলেম। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কারী মাওলানা মাহবুবুর রহমান মেশকাতও তাদের একজন।

আল্লাহ তাআলা দ্বীনের এ খাদেমকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস