দেশজুড়ে

ফরিদপুর চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু

৪২৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ফরিদপুর চিনিকলে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের আখ মাড়াই শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় কেইন ক্যারিয়ারে আখ নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মো. মনজুর হোসেন বুলবুল।

Advertisement

এর আগে কারখানা প্রাঙ্গণে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু, ফরিদপুর চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু, আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম।

এ সময় মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদুজ্জামান মুরাদ, জেলা পরিষদ সদস্য আহসানুজ্জামান আজাউল, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মনোজ সাহা, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ মিয়া, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামসহ চিনি কলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আখচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০২০ মাড়াই মৌসুমে ৭৭ কার্য দিবসে মোট ৭৮ হাজার টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে শতকরা ৭.৫ ভাগ।

Advertisement

গত ২০১৮-১৯ আখ মাড়াই মৌসুমে মিলটি ১০৩ কার্য দিবসে ১ লাখ ৮ হাজার ৪২৩ টন আখ মাড়াই করে ৮ হাজার ১৩১ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছিল শতকরা ৭.৫ ভাগ।

কিন্তু মাত্র ৬৭ কার্য দিবসে ৬২ হাজার ৪৬৩ টন আখ মাড়াই করে মাত্র ৩হাজার ৪শ টন চিনি উৎপাদন করা হয়। আর চিনি আহরণের হার ছিল শতকরা মাত্র ৫.৬০ ভাগ।

সূত্র জানায়, গত ২০১৮-১৯ আখ মাড়াই মৌসুমে মিলটিকে ৭০ কোটি ৩৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়। ফরিদপুর চিনিকলে মোট ৪ হাজার ৮৯২ জন আখ চাষী রয়েছেন। ২০১৯-২০ মৌসুমে ১০ হাজার একর জমিতে আখ রোপন করা হয়।

এদিকে মিলটি চলতি বছর ৪ হাজার ৪৩৩ জন চাষীর মাঝে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে।

Advertisement

বি কে সিকদার সজল/এমএমজেড