সারাদিনের হাজারটা কাজের পর ক্লান্তি যেন আর কাটে না। স্বাভাবিক সব কাজ করতেও যেন আর মন চায় না। এই ক্লান্তির কারণেই দেখা দিতে পারে ডায়বেটিস, থাইরয়েড, আর্থারাইটিস এমন কী হার্টের সমস্যাও। সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে রেহাই পাওয়া যায় অবিরাম ক্লান্তির হাত থেকে। চলুন জেনে নিই-কাজ করতে করতে ক্লান্ত লাগলে উঠে হেঁটে আসুন কিছুক্ষণ। প্রতিদিনের রুটিনেও কিছুটা সময় রাখুন শরীরচর্চার জন্য। যোগব্যাম, সাইক্লিং বা মর্নিং ওয়াকের মতো অভ্যাস শরীরে ও মস্তিষ্কে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে ক্লান্তি, স্ট্রেস অনেকটাই কেটে যায়।শরীর সুস্থ রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। ডিহাইড্রেশন শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। মনসংযোগ নষ্ট নয়। তাই সারাদিন পানি পান করুন, নিজেকে সতেজ রাখুন।সারাদিন কাজের পর রাতে স্বস্তির ঘুম প্রয়োজন। বেশি রাত জাগলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। ফলে অবধারিত ভাবে ঘাড়ে, গা, হাত-পায়ে ব্যাথা, ক্লান্তির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান, পারলে প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে যান। শরীরের ঘড়ি ঠিক থাকলে ক্লান্তি কেটে যাবে।শরীরের ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ ক্লান্তি, অবসাদ, স্ট্রেস। এর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে গুরুতর সমস্যা। তাই ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করে ওজন কমিয়ে ফেলুন। ওজন কমালে নিজ থেকেই শরীরের এনার্জি লেভেল বাড়বে। তবে ক্রাশ ডায়েটে একেবারেই যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত ফল হবে।ক্লান্তির সব থেকে বড় কারণ খাওয়া দাওয়ার দিকে নজর না দেয়া। ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার সমস্যার জন্য অনেককেই ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছতে ছোটাছুটি করতে হয়। ফলে বাদ পড়ে ব্রেকফাস্ট। ফলে দুপুর, বিকেলের দিকে প্রচণ্ড খিদেয় অনেকটা খেয়ে ফেলেন অনেকেই। অবধারিত ফল, ক্লান্তি। তাই একসঙ্গে অনেক না খেয়ে অল্প করে বার বার খান।এইচএন/এমএস
Advertisement