রাজধানীর বংশালে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইলফোন, নগদ ৫৪ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি সিএনজিও।
Advertisement
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হারেজুল ইসলাম, মো. বাবু, মো. জাকির ও আবুল হোসেন।
বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, গত ১৩ নভেম্বর ভোর সোয়া ৫টায় গুলিস্তান স্টেডিয়ামের ১নম্বর গেটে বাস থেকে নামেন একজন নারী। তার মেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি রিকশাযোগে মিটফোর্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে মালিটোলা রোডে রিকশার গতিরোধ করে একটি সিএনজি। সিএনজিতে থাকা ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা নগদ ৫৪ হাজার টাকা, এক ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বালা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
ওই ঘটনায় ১৮ নভেম্বর বংশাল থানায় মামলা করেন তিনি। মামলাটি তদন্তকালে গত ২ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে অভিযান চালিয়ে হারেজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে রাজধানীর কদমতলী থানার জাপানি বাজার এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত মো. বাবুকে গ্রেফতার এবং তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতার দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে জুরাইন বাসস্ট্যান্ড থেকে মো. জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও নগদ চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তারা জানায় ছিনতাইকৃত স্বর্ণালংকার তাঁতীবাজারে আবুল হোসেন নামে একজনের কাছে বিক্রি করা হতো। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে তাঁতীবাজারে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল, যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেইউ/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement