টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের ছুটিতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। সোমবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের হরিদ্রাচালা এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। সরেজমিনে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত টেকনো মিলে কর্মরত মো. শাহীন মিয়া নামে এক যুবক সোমবার বিকেলে তার স্ত্রীকে হরিদ্রাচালা এলাকায় রেললাইনে ঘুরতে নিয়ে যান। সেখানে হরিদ্রাচালা গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে ইমরান (২০), হালিম মিয়ার ছেলে বিপুল মিয়া (২০) ফজল মিয়ার ছেলে মিলন (২১) ও রাজাবাড়ি গ্রামের আরও ২ যুবক শাহীন মিয়া ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে মুখ চেপে দুটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রাজাবাড়ি এওতারবাড়ি টিলায় নিয়ে যান। সেখানে ওই পাঁচ যুবক স্বামী শাহিনকে বেঁধে তার সামনেই পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলে শাহিন এলাকাবাসীকে জানিয়েছেন। পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে ধর্ষণকারীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যান। পরে স্বামী গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান বলে এলাকাবাসী জানান। ঘটনাটি দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফখরুল ইসলাম জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি পুলিশ জানতে পাওয়ায় ধর্ষণকারীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. ফখরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের স্বীকার ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে পায়নি। তবে স্বামীর নাম মো. শাহিন মিয়া বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূ বা তার স্বামী কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এমজেড/এমএস
Advertisement